মোহনগঞ্জের ভাটিবাংলা হাই স্কুল
হাওরাঞ্চল (নেত্রকোণা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৫২ পিএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৫৬ পিএম
অভিযুক্ত শিক্ষক হাবলু হাসান।
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ভাটিবাংলা হাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক হাবলু হাসানের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়সংলগ্ন গাগলাজুর গ্রামের বাসিন্দা মশিউর রহমান ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের চাঁনপুর মৌজায় ২০০৫ সালে ভাটিবাংলা হাই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত এবং ২০১৯ সালে স্কুলটি এমপিও ভুক্ত হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। হাবলু হাসান ২০০৮ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে এইচএসসি, ২০১২ সালে রাজধানীর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করে ২০১৯ সালে স্কুলটিতে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
অভিযোগে সংযুক্ত নথি সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক হাবলু হাসান ৩ বছর ৪ মাস ১৩ দিনে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করেন। সময় নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তার সার্টিফিকেটের বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে তার সার্টিফিকেটটি জাল বলেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক হাবলু হাসান বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। মূলত স্থানীয় একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
ভাটিবাংলা হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি, প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও দাতা সদস্য আব্দুল মজিদ তালুকদার বলেন, শিক্ষক হাবলু হাসান একজন বদমেজাজি, বেয়াদব প্রকৃতির লোক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ওই শিক্ষকের জাল সনদের বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাই করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা কবির বলেন, ওই শিক্ষকের জাল সনদের বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।