সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৫১ পিএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৫৭ পিএম
ফরিদপুরের সদরপুর ঢেউখালী ইউনিয়নের চরডুবাইল গ্রামের খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। রাস্তাঘাট আর ফসলের জমি পানিতে একাকার হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম এলেই এ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালটি ‘চরডুবাইল খাল’ নামে পরিচিত। পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই খালের প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। গত কয়েক মাস যাবৎ ঢেউখালী ইউনিয়নের কয়েকজন প্রভাবশালী খালে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে চরডুবাইল, উত্তর চরডুবাইল, সুরেশ্বরীর মোড়, এগারো ঘর, মৃধা কান্দি, সরদার ডাঙ্গীসহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দরা দুরবস্থায় পড়েছে। কৃষিজীবী ও খালনির্ভর শতাধিক পরিবারের জীবিকা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একাধিকবার আপত্তি জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
আবুল হোসেন বেপারী, ইদ্রিস বেপারী, দবির উদ্দিন কয়ালসহ কয়েকজন কৃষক জানান, কয়েক মাস আনোয়ার বয়াতী ও মালেক হাওলাদার খাল দখল করে মাছ শিকার করছে। সরকারি নিয়মনীতি না মেনে তারা টোনা জাল, চায়না দুয়ারি ও পাটাতন নেটের বেড়া দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেচের সমস্যা হচ্ছে। খালের বাঁধ কেটে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
অভিযুক্ত আনোয়ার বয়াতী ও মালেক হাওলাদার বলেন, খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছি। এটি বেআইনি সেটা জানা ছিল না। আমরা বাঁধ সরিয়ে ফেলব।
ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, পানি সরবরাহের খাল ফসলি জমির চেয়ে উঁচু হয়ে গেছে। খালে যারা বাঁধ দিয়েছে, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে বলেছি। চরডুবাইল গ্রামে একটি ব্রিজ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় ফসলি জমির পানি প্রবাহের গতি কমে জলাবদ্ধতা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, বাঁধ দেওয়ার কারণে কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সরকারি খালের বাঁধ অপসারণ করে খাস খালগুলো উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন বলেন, চরডুবাইল খালের বাঁধ কেটে উন্মুক্ত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।