রাজবাড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৩ পিএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:১১ পিএম
রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাস্তা থেকে ডেকে বিয়ে বহির্ভূত সর্ম্পকের অপবাদ দিয়ে দুই ইউপি সদস্যকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জ্বল সরকার। অভিযোগে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান খানসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জ্বল সরকার ও ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য হেলেনা বেগমকে দড়ি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় বসন্তপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান খান। এ সময় কয়েকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে হেলেনা বেগমের গলা থেকে চেইন খুলে নেন। চেইন খোলার সময় ইউপি সদস্য হেলেনা বেগমকে বলতে শোনা যায়, ‘এটি বিয়ের সময় আমার স্বামী আমাকে দিয়েছে।’ দুই ইউপি সদস্যকে মারধর করার জন্য পাশ থেকে আরও এক যুবককে লাঠি হাতে নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায়। পাশাপাশি ঘরের মধ্যে অনেক লোকজন দেখা যায়। কয়েকজনকে মারধরের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিওধারণ করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল সরকার ও হেলেনা বেগম স্থানীয় মণ্ডপে পূজা দেখেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে উজ্জ্বল সরকার মোটরসাইকেলে হেলেনা বেগমকে বাজিতপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে নামিয়ে দিতে যান। এ সময় কয়েকজন ওই বাড়িতে গিয়ে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে দুই ইউপি সদস্যকে ধরে নিয়ে আসেন। পরে তাদের মহারাজপুর ব্রিজ এলাকার একটি দোকানঘরে আটকে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। পেটানোর একপর্যায়ে হেলেনা বেগমের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ও দুজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। হেলেনা বেগম ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইউপি সদস্য উজ্জ্বল সরকার বলেন, হেলেনা বেগম ফোন করে জানান শিবরামপুরে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। পরে তাকে রিকশায় করে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে আমাকে কয়েকজন যুবক হেলেনা মেম্বারের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে দুজনকে ধরে এনে টাকা দাবি করে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে।
অভিযুক্ত রায়হান খানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শরীফ আল রাজীব বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।