শাখাওয়াত হোসেন সোহান, রাজবাড়ী
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৩ পিএম
মৌসুম শুরুর আগেই রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আগাম সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। প্রবা ফটো
মৌসুম শুরুর আগেই রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আগাম সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। এর ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা আর্থিকভাবে ১৫-২০ কোটি টাকা লাভবান হবেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় ৩৮৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় মৌসুম শুরুর পূর্বেই সহস্রাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অগ্রসর কৃষক শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েন।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, শিমসহ বিভিন্ন জাতের আগাম সবজি চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে জামালপুর ইউনিয়নের মাশালিয়া, নটাপাড়া, লক্ষণদিয়া এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জামিতে আবাদ হয়েছে। এসব সবজির মধ্যে ফুলকপি ও বাঁধাকপির আবাদ উল্লেখ করার মতো।
নটাপাড়ার কৃষক রুবেল মোল্লা বলেন, মাত্র ১৪ শতাংশ জমিতে ফুলকপি আবাদ করতে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার টাকার বিক্রিও হয়েছে। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
একই এলাকার কৃষক অজিৎ প্রামাণিক বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে আগাম সবজি চাষে ৩৫-৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। আর উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। এবার বৃষ্টির কারণে আয় প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যাবে।
নিহার প্রামাণিক নামে আরেকজন বলেন, আগাম চাষের কারণে মূল মৌসুমের সবজি আবাদে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে না। কারণ আগাম আবাদের জন্য তিন মাস আগে থেকেই বীজতলা তৈরিসহ জমির আনুষঙ্গিক পরিচর্যা শুরু হয়। আগাম সবজি আবাদের পরও দুই দফা সবজি চাষের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আর্থিক প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আগাম সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। মাঠ পরিদর্শনকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর শীত মৌসুম শুরুর পূর্বেই বালিয়াকান্দি উপজেলায় যে পরিমাণ ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ আগাম সবজি চাষ হয়েছে তাতে আড়াই হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদিত হবে। এসব সবজির বিক্রয় মূল্য ১৫-২০ কোটি টাকা হবে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠতে পারলে ভরা শীত মৌসুমে এবারের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।