কচুয়া-গৌরিপুর সড়ক
নাছির উদ্দিন, কচুয়া (চাঁদপুর)
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০০ পিএম
চাঁদপুরের কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের বেহাল দশা। সম্প্রতি কচুয়া উপজেলার পালাখাল এলাকা থেকে তোলা। প্রবা ফটো
চাঁদপুরের কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কের কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। বিশেষ করে সড়কের বাছাইয়া থেকে বাতা-পুকুরিয়া পর্যন্ত ছয় কিলোমাটার অংশ বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের এমন দশায় চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পিচঢালাই উঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ইটের খোয়া ও পাথর। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমে আছে। কয়েক মাস ধরে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। বিশেষ করে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের অবস্থা বেহাল। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জের বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বাছাইয়া থেকে বাতা-পুকুরিয়া পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা এখন বেহাল। এ অংশের ছয় কিলোমিটারজুড়ে সড়কটিতে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সেই খানাখন্দ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বৃষ্টিতে। বেহাল দশার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই যাত্রীসাধারণসহ চালকদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক সময় অটোরিকশা ও সিএনজি উল্টে আহতের ঘটনাও ঘটছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে গণপরিবহনগুলোকে চলতে হচ্ছে এঁকেবেঁকে হেলেদুলে, যা চালকদের জন্য কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রোগী নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটা অসম্ভব।
সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রী জানান, এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার না করায় টানা বৃষ্টিতে যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সড়কটির সংস্কার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. মান্নানসহ কয়েকজন বলেন, সড়কের দুরবস্থার কারণে বড় বড় যানবাহন কোনোভাবে চলাচল করতে পারলেও সিএনজি ও অটোরিকশা চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অধিকাংশ সময় অটোরিকশা হেলে যায়। এতে অনেক যাত্রী পড়ে আহত হচ্ছেন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ট্রাকচালক মো. বশির বলেন, সড়কটির অধিকাংশ স্থানেই কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই মালামাল নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কখন ট্রাক আটকে যায় বা উল্টে যায়, সেই আতঙ্কে রয়েছি। একই কথা জানালেন বাসচালক আলম মিয়াও। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ হাজীগঞ্জ অঞ্চলের উপপরিচালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, সড়কটি সংস্কারের অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করতে বিলম্বিত হচ্ছে। অচিরেই সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু হবে।