মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৪ পিএম
নীতিমালা উপেক্ষা করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। বিভিন্ন দোকানের সামনে এমনকি ফুটপাথে সিলিন্ডার ফেলে রেখে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতনমহল। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মুদি দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, ফাস্টফুড, কসমেটিক্স দোকান, তেল বিক্রির দোকান, ফেক্সিলোডের দোকানসহ হাইওয়ে রাস্তার কাছে, ফুটপাথে গ্রামের রাস্তার মোড়ে, ফার্মেসিতে ও থান কাপড় বিক্রির দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। সিলিন্ডারগুলো দোকানের সামনে বা ভিতরে খোলামেলা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির ঘটনা। এসব দোকানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ দোকানগুলোই তা মানছে না। আবার কোনোকোনো দোকানে থাকলেও তার বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ।
গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ থাকায় দিন দিন এলপি গ্যাসের চাহিদা বেড়েই চলছে। বর্তমানে শুধু জেলা শহরেই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। শহরের বাসিন্দারা জানান, এলপি গ্যাস প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ নিলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা শুধু দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। এর মধ্যে আবার অনেক দোকানের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। ফলে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনে ও রাস্তায় এবং অবৈধ গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি স্বপন কুমার বর্মণ বলেন, যত্রতত্র অবাধে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। লাইসেন্সবিহীন সিলিন্ডার বিক্রি ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ বলেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণের চিন্তাভাবনা চলছে।