কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ
কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৩ পিএম
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের কলাতলী এলাকায় দুই দশক আগে সাগরের প্রবল স্রোতে বিলীন হয়ে যাওয়া দুই কিলোমিটার অংশে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর রামুস্থ ১০ পদাতিক ভিডিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ১৯৯১ সালের পর থেকে মেরিন ড্রাইভের ভাঙা অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে না পারায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হলে একটা প্রস্তাবনা পাঠানো হবে মন্ত্রণালয়ে। সেটি পাস হলে সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। রবিবার (৬ অক্টোবর) ক্ষতিগ্রস্ত মেরিন ড্রাইভ এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী এরই মধ্যে শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে কলাতলীর ডলফিন মোড়ে যানজট অনেকটা কমেছে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের কলাতলী অংশ থেকে বেলা হ্যাচারি পর্যন্ত বিলীন হয়েছে সাগরের আগ্রাসনে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে অনেক স্থাপনা। এসব স্থাপনা রক্ষায় অনেকেই নিজস্ব অর্থায়নে বাঁধ নির্মাণ করেছে। এরপরও বছরের পর বছর জোড়া লাগেনি মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশ। যার কারণে মেরিন ড্রাইভে যেতে ব্যবহার হচ্ছে বিকল্প সরু সড়ক। যার কারণে এই সড়কে যানজট লেগে থাকে। একই সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই ঘটে নানান দুর্ঘটনা।
মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশে কাজ শুরুর খবরে খুশি চালক ও যাত্রীরা।
ট্যুরিস্ট জিপচালক আব্দুল হাকিম বলেন, মেরিন ড্রাইভ শুরুর কলাতলী থেকে বেলী হ্যাচারি পর্যন্ত ভাঙা। বিকল্প সড়কটাও অনেক সরু। যার কারণে সব সময় যানজট লেগে থাকে। এতে পর্যটকসহ আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখন ভাঙা অংশের কাজ শুরু হবে বলছে, এটা অবশ্যই সবার জন্য ভালো হবে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শফি উল্লাহ বলেন, বিকল্প সড়কে দুই কিলোমিটার যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলে ৩-৪ ঘণ্টা লেগে যায়।
হোটেল সি ক্রাউনের ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশ সেনাবাহিনী কাজ শুরু করবে- এটা পর্যটকদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। কক্সবাজার বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ বঙ্গোপসাগরের পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। যা দেখতে আসে হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশ মেরামত হলে বিকল্পপথে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে রেহাই ও মেরিন ড্রাইভের সুফল মিলবে বলে জানালেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশে হ্যাচারি, হোটেলসহ বহু স্থাপনা রয়েছে। এখন এ অংশে প্রতিরক্ষা বাঁধ আর সড়ক হলে একদিকে স্থাপনাগুলো রক্ষা পাবে, আর পর্যটন শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে।