শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০৭ পিএম
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:১৩ পিএম
টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের পাঁচ উপজেলার ২৮ ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে শুক্রবার জেলার প্রথমত দুই উপজেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়। ভেঙে যায় বেশ কয়েকটি নদীর পাড়। পাহাড়ি ঢলে ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
পানিবন্দিদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শেরপুরের বাইরের অনেক সংগঠন কাজ করছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পানি বৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি। এর মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বন্ধ রয়েছে।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলমান থাকবে।’