খুলনা অফিস
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৩৯ পিএম
খুলনা নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সুধী সমাবেশে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খালিশপুর পিপলস গোলচত্বরের সমাবেশস্থলে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার নগর বিএনপি চারজনকে বহিষ্কার ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, সুধী সমাবেশে সামনের চেয়ারে বসা ও মঞ্চে ওঠা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তুহিন, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য দিদার বিশ্বাস ও মো. সোহেল, ৮ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নূরুজ্জামান এবং বিএনপির সদস্য শহিদসহ ১৫ জন আহত হন। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা ও সদস্যসচিব শফিকুল ইসলাম তুহিনসহ অন্যান্য নেতা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব বিশ্বাস বলেন, সুধী সমাবেশ মঞ্চে ওঠা নিয়ে কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে তাদের দেখে এসেছেন।
শনিবার বিএনপির মিডিয়া সেল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে নগরীর খালিশপুর থানার ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সুধী সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেনÑ ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান আরিফ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা তারেক রহমান রানা, ১১ নম্বন ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রেজাউল করিম স্বপন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা আসলাম সোহেল রনি। বিএনপি মিডিয়া সেল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ওই চারজনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খালিশপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।