প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩৬ পিএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪০ পিএম
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে উদ্ভিদ, প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘তরুপল্লব’। এবারের আয়োজনে সংগঠনটি দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির এক হাজার গাছের চারা রোপণ েকরা হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ শনিবার সকাল ১০টায় মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা জমিদারবাড়ি প্রাঙ্গণে আইডিএলসির সহযোগিতায় এসব চারা রোপণ করা হয়েছে। বৃক্ষরেপাণের ক্ষেত্রে গ্রিন কভারেজ, জীববচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং প্রজাতিগত সংকট ইত্যাদি বিষয়গুলো বিচেবচনায় রাখা হয়।
উল্লেখযোগ্য গাছের মধ্যে রয়েছে—সিভিট, ট্যাবেবুইয়া, হৈমন্তী, মহুয়া, দেবদারু ও হিজল।
মোকারম হোসেন বলেন, বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে অন্যতম কর্মসূচি হলো জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অতিসংবেদনশীল উদ্ভিদ রোপণ করা। কারণ এর অভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। তরুপল্লব প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব দুর্লভ গাছ সংগ্রহ করে সংরক্ষিত স্থানে রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আসছে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তরুপল্লবের সহ-সভাপতি শাহজাহান মৃধা বেনু, সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাহানা চৌধুরী, ইমাম গাজী এবং লায়লা আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পাখি পর্যবেক্ষক ও আলোকচিত্রী জালাল আহমেদ (চেয়ারম্যান-বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটারি কমিশন) এবং লেখক ড. গোলাম শফিক (সাবেক অতিরিক্ত সচিব), শিবালয় উপজেললার নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন এবং সহকারী কমিশনার এস এম ফয়েজ উদ্দিন।
আইডিএলসি ফাইন্যান্স-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি গ্রুপের চিফ ফাইন্যান্স অফিসার মাসুদ করিম মজুমদার, হেড অফ সিএসআর ফারহানা শারমিন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং লিড খন্দকার নাগিব আনোয়ার।
বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোকে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। সবুজে শ্যামলে বাঁচুক প্রাণ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৮ সালে ‘তরুপল্লব’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটি ইতোমধ্যেই সাফল্যের সঙ্গে ১৫ বছর পার করেছে। তরুপল্লব প্রতিবছর প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।