× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কোন্দলে নাজেহাল বাউফল বিএনপি

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০৫ পিএম

আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম

কোন্দলে নাজেহাল বাউফল বিএনপি

পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির রাজনীতিতে কোন্দল চলছে। কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পালন হতো এ উপজেলায়। তবে এ সময়জুড়ে কোনো সহিংসতা না ঘটলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির স্থানীয় কোন্দল চরম রূপ নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পতনের পর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। রাজনীতির মাঠ দখলে নিয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। জামায়াত দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তবে হাটবাজার ইজারা, বাসস্ট্যান্ড ও লঞ্চঘাট দখলে নিয়ে বিএনপির একাধিক পক্ষের মধ্যে সংঘাত, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে।

সূত্র বলছে, উপজেলা বিএনপির রাজনীতি তিন নেতার পৃথক বলায়ে তিন ভাগে বিভক্ত। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন। তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত জব্বার মৃধা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও আপেল মাহমুদ ফিরোজ সদস্য সচিবের পদে রয়েছেন। আরেক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার। তার পক্ষে আছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক ও বর্তমান একাধিক পদধারী নেতা। অপরদিকে ১/১১-এর পর দীর্ঘদিন উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি মো. ফারুক আহম্মেদ তালুকদার। কয়েক বছর ধরে তিনি বাউফলে অনুপস্থিত থাকলেও উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ ও পৌর বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি সম্পাদক হুমায়ন কবির তার পক্ষে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

৫ আগস্টের পর পৌরশহরে ব্যাপক লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অভিযোগের তীর ওঠে পৌর বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে। তবে হুমায়নের দাবি, তিনি দলীয় ষড়যন্ত্রের শিকার।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার দখলে নেওয়াকে কেন্দ্রে করে বিএনপির বিবাদমান পক্ষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম হাট কালাইয়া বন্দর, খেয়াঘাট ও বাসস্ট্যান্ড দখলে নিতে মরিয়া বিএনপির দুইপক্ষ। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মোহাম্মাদ মুনির হোসেনের অনুসারী কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ওরফে তুহিন। অপর পক্ষে বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের অনুসারী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন গাজী। হাট নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুইপক্ষের অনুসারীদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।

সূর্যমণি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামানের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব চলছে। একে-অপরের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দুইক্ষের অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নে। সেখানেও বিএনপির দুইপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূলের একাধিক নেতা জানান, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বিএনপির নেতারা দখলবাজি, চাঁদাবাজি, লুটপাটে মেতে উঠেছেন। এতে দলের জনপ্রিয়তা কমছে। মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এসব বন্ধ করে সবার মনে আস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামুয়েল আহমেদ লেলিন বলেন, নেতাদের কোন্দলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুবিধাবাদী কিছু নেতা নেতৃত্বে থাকায় কোন্দল নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। 

এদিকে বিএনপির বিরোধে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। গত ৫ আগস্টের পর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শোভাযাত্রা, পথসভা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেছে দলটি। সবশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে পৌরশহরের পাবলিক মাঠে বিশাল জনসভা হয়।

উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির রফিকুল ইসলাম বলেন, জামায়াত ইসলামী স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের কাছে কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় নেই। জামায়াত শান্তিকামী মানুষের দল। এ আসনে আগামী নির্বাচনে জামায়াত ৮০ ভাগ ভোট পাবে বলেও তিনি আশাবাদী।

 

 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা