সাভার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:২৭ পিএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৫ পিএম
আশুলিয়ায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর মালিকপক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার ডংলিওন ফ্যাশন বিডি লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনায় উপস্থিত থাকা ছয়জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা সবাই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল হামিদের অনুসারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
জানা গেছে, ছাটাইকৃত কয়েকজন কর্মকর্তা ও শ্রমিককে পুনর্বহাল করায় বাকি শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করে। এ সময় মালিকপক্ষ বহিরাগতদের দিয়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করে। পরে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে চাইলে মালিকপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এতে অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়।
শ্রমিকরা জানায়, কয়েকজন কর্মকর্তা ও শ্রমিককে ছাঁটাইসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিল। সেসব দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। কিন্ত ছাঁটাইকৃত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের আবারও পুর্নবহাল করে। এতে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে কাজ বন্ধ করে কারখানার প্রধান ফটকে চলে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, আজ আন্দোলন চলাকালে মালিকপক্ষ বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে যৌথবাহিনী এসে কয়েকজন বহিরাগতদের আটক করে নিয়ে যায়। বহিরাগতদের অধিকাংশ একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিল। তার কর্মীদের দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমার সঙ্গে পূর্ব পরিচিত থাকায় কারখানার কনক নামের এক কর্মকর্তা নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সে জন্য দৈনিক বেতনে কয়েকজন লোক দেওয়া হয়। কিন্ত আজকে তাদের ওপর হামলা করেছে শ্রমিকরা। কিন্ত উল্টো তাদের যৌথবাহিনী ধরে নিয়ে গেছে।
আটক ব্যক্তিরা তার কর্মী কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা আমার অনুসারী। কারখানা নিরাপত্তার জন্য দৈনিক বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন তো তারা কারখানার লোক। প্রয়োজনে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।’
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর বলেন, ‘এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই বহিরাগত। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’