শরীয়তপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২৭ পিএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২৯ পিএম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘আমাদের দেশে ইলিশের উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ইলিশ কিনে খেতে পারে না। ইলিশের দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় আমরা সে লক্ষে কাজ করে যাব।’
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইলিশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ইলিশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হব। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। এ সময় যদি ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে ইলিশের উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যাবে।’
জেলেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রধান মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে। আপনারা দয়া করে এ কয়দিন ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকবেন।’
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সারাদেশে ইলিশের ব্যাপারে যে কর্মসূচি নেই না কেন, এই এলাকার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে। কারণ, এ এলাকার জেলেদের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই।’
একই সঙ্গে এ অঞ্চলের জেলেদেরকে আগে যেখানে ২৫ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেওয়া হতো সেখানে এখন ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পরিচালক মোল্লা এমদাদ উল্লা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মকর্তা জিয়া হায়দার চৌধূরী, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরল ইসলাম, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য, শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাদিউজ্জামান, সুরেশ্র অঞ্চলের মৎস্যজীবী দাদন সরদার, সুমন বকাউল।