গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৪৪ পিএম
শনিবার সকালে গাজীপুর নগরের জিরানী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। প্রবা ফটো
হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর জিরানী এলাকায় একটি পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে গাজীপুর নগরের জিরানী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে সড়কের দুই পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারীরা।
অপরদিকে জেলার আর কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকালে থেকে সপ্তাহের প্রথম দিনে শ্রমজীবী নারী-পুরুষ শ্রমিকেরা নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। শিল্প কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। জেলার ৮টি পোশাক কারখানা এখনো বন্ধ রয়েছে।
কারখানা শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরীর জিরানী এলাকার আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকালে কারখানায় কাজে এসে প্রধান ফটকে জড়ো হয়। পরে শ্রমিকরা হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সকাল ৯ টার দিকে কারখানার পাশের চন্দ্রা-নবীনগর সড়করে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে ওই সড়কের উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই ঘন্টার বেশি সময় ধরে সড়কটি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারীরা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আইরিশ কারখানার শ্রমিক আবিদ হোসেন বলেন, কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে খারাপ আচণ করে তাদের কারখানা থেকে চাকুরিচ্যুত করতে হবে। এছাড়া হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকা পরিশোধ করাতে হবে। তা না হলে এই বিক্ষোভ চলইতেই থাকবে।
শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া, ইটাহাটা, কোনাবাড়ি ও কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার শিল্প কারখানার শ্রমিকরা দল বেধে সকালে কারখানার কাজে যোগ দিয়েছে। সকাল ৮ টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও শ্রমিকরা স্বতস্ফুর্তভাবে কারখানায় প্রবেশ করেন। এসময়ে বিভিন্ন কারখানার সামনে নিরপত্তা ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ১০ পর্যন্ত জেলার কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিক গতিতে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পরিদর্শক আবু তালেব প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, জিরানী এলাকার একটি কারখানা ছাড়া জেলায় আর কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন কারণে জেলার ৮টি কারখানা আজও বন্ধ আছে। শিল্প কারখানা সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে শিল্প পুলিশ। রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল।