× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ধোবাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, ত্রাণের জন্য হাহাকার

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৭ পিএম

আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫২ পিএম

ধোবাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, ত্রাণের জন্য হাহাকার

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলসহ পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার কলসিন্দুর, জিগাতলা, পঞ্চনন্দপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। আজ শনিবার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।  দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘরের মধ্যে পানি ঢোকায় রান্নার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। মানুষের এত দুর্ভোগেও প্রশাসনের নেই কোনো ত্রাণকার্যক্রম। বন্যাকবলিত মানুষ সেখানে দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।

শনিবার সকালে উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাজার হাজার মানুষ বন্দি হয়ে পড়েছে। এ সময় উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের আবদুল কদ্দুস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ঘরের মধ্যে পানি। রান্না করার চুলা পানির নিচে। না খেয়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে বসে আছেন।

কলসিন্দুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। রান্না করার জন্য বাজার থেকে গ্যাসের বোতল কিনে আনলেও আর রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্যাসের বোতলও পানিতে ভেসে গেছে। রাত থেকে পরিবারের লোকজন না খেয়ে আছে। সাঁতরিয়ে বাজার থেকে মুড়ি কিনে এনেছেন তিনি।

স্থানীয় আরিফ মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর আমন ধানের ক্ষেত। পুকুর ডুবে চলে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। রাত থেকে বাড়িঘরে পানি থাকায় না খেয়ে আছে লোকজন। আমাদের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রচুর ত্রাণ প্রয়োজন। দ্রুত ত্রাণ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।’

জিগাতলা গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকেই খাবার সংকটে আছি। দ্রুত আমাদের ত্রাণ দরকার। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা পাইনি।’

গামারীতলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘কলসিন্দুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি অসংখ্য মানুষ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, ‘আমি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি। ত্রাণকার্যক্রম আজকের মধ্যে শুরু করার চেষ্টা করছি। প্রক্রিয়া চলছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা