কুমিল্লা সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৯:১৯ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৫৩ পিএম
কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মনিরুল হক সাক্কু। ছবি : প্রবা
কুমিল্লায় আগামী ২৬ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশ সফল করতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর লোকজন পাহারা দিচ্ছেন কুমিল্লা টাউন হল মাঠ।
কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কৃত এই নেতা।
এসময় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি দল ছেড়ে যাব না, ৪০ বছর ধরে এ বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত, এখন অন্য কোথায় যাব? আমি মরে গেলে আপনারা আমাকে বিএনপির পতাকা দিয়ে মাটি দিয়েন। আমি এই সমাবেশকে সফল করতে যতটুকু কাজ করা দরকার, তা করে যাব।’
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ২৬ তারিখের সমাবেশ হবে মহাসমুদ্র। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য কাজ করছি। পদে না থাকলেও দলের হয়ে কাজ করার বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন মহল অবগত আছেন।
সাক্কু বলেন, ‘দলের কর্মীদের থাকার সুবিধার্থে ৭৮টি ফ্ল্যাট খালি করছি।’
এর আগে মঙ্গলবার টাউনহল মাঠে সস্ত্রীক হাজির হন মনিরুল হক সাক্কু। কিছুক্ষণ পর মধ্যাহ্নভোজের সময় হয়। ওই সময় ঘরে রান্না করা মুরগির খিচুড়ি সাক্কুকে খাইয়ে দেন তার স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলি। খিচুড়ি খাওয়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনায় এসেছে। মঙ্গলবারের মতো বুধবারেও টাউনহলে অবস্থান করা চারশ লোককে খাবার খাওয়ান সাক্কু। অবশ্য এদিন তার স্ত্রী টাউন হল মাঠে ছিলেন না। এদিকে ২১ তারিখ থেকেই টাউনহলে আনাগোনা বাড়ছে বিএনপির লোকজনের। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো কান্দিরপাড় এলাকা।
এদিকে ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে নগরী ও জেলাজুড়ে চলছে নেতাকর্মীদের প্রচারণা। বুধবার নগরীতে লিফলেট বিতরণ করেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপি নেতা কাউসার জামান বাপ্পী। এ সময় নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘গ্যাস দে বিদ্যুৎ দে—নইলে গদি ছাইড়া দে।’ ‘ছাত্রদল নেতা নয়ন মরল কেন—জবাব চাই।’ ‘খালেদার মুক্তি চাই।’
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন—মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীরুজ্জামান আমীর, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন ও সারোয়ার জাহান দোলন প্রমুখ।
লিফলেট বিতরণ শেষে কুমিল্লা মহানগর বিএনপি নেতা কাউসার জামান বাপ্পী বলেন, কুমিল্লা নগরীতে ২৬ নভেম্বর মানুষের ঢল নামবে। টাউনহল ছাড়িয়ে পুরো নগরীই হয়ে যাবে সমাবেশস্থল। নেতা-কর্মীরা আসা শুরু করেছেন। কোনো বাধা তাদের দমাতে পারবে না। এই জুলুমবাজ সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না।
টাউনহলের একাংশে চলছে কুমিল্লা সাহিত্য মেলা। ১৯ নভেম্বর শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। সম্মেলনের পূর্বে পুরো মাঠকে প্রস্তুত করতে একদিন সময় পাবে বিএনপি।
১০ শর্তে সমাবেশ :
১০ শর্তে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। লিখিত অনুমতিতে এসব শর্ত জুড়ে দেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক।