লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২৫ পিএম
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৪৩ পিএম
লক্ষীপুর জেলা পরিয়দের মালিকানাধীন অর্ধশতবর্ষী একটি কড়ইগাছ অনুমতি ছাড়াই বাড়ি ও দোকানের শোভাবর্ধণের জন্য কাটা হয়েছে। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের মালিকানাধীন অর্ধশতবর্ষী একটি কড়ইগাছ অনুমতি ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে। বাড়ি ও দোকানের শোভাবর্ধনের জন্য শামছুল আলম ভূঁইয়া নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিকদের দিয়ে গাছটি কেটে ফেলেন। তার দাবি- রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছ থেকে গাছ কাটার অনুমতি নিয়েই গাছটি কেটেছেন তিনি।
তবে রায়পুরের
ইউএনও ইমরান খান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ গাছ হওয়ায় তিনি ডালপালা কাটার অনুমতি দিয়েছিলেন,
সম্পূর্ণ গাছ কাটার নয়।
খবর পেয়ে জেলা
পরিষদের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছের কাটা অংশগুলো জব্দ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে,
রায়পুর-হায়দারগঞ্জ সড়কের পাশে অর্ধশতবর্ষী কয়েকটি কড়ইগাছ রয়েছে। নতুন বাজার এলাকায়
রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী শামছুল আলমের দোকান ও বাসার রাস্তার পাশে একটি গাছ রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ
দাবি করে শামছুল আলম গাছটির ডালপালা ছাঁটাই করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
(ইউএনও) কাছে সম্প্রতি আবেদন করেন। বিষয়টা উপজেলা বন ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাকে
দেখার জন্য বলেন ইউএনও। এতে তড়িঘড়ি করে শামছুল গত শনিবার মধ্যরাত থেকে ৩০ হাজার টাকা
চুক্তিতে শ্রমিকদের দিয়ে গাছটি কাটান। ইতোমধ্যে গাছটির ৯০ ভাগই কাটা হয়েছে, শুধু গোড়াটাই
কাটা বাকি রয়েছে।
পৌরসভার দেনায়েতপুর
এলাকার আবুল হাশেম পাটওয়ারী, আবদুল মতিন, ইব্রাহিম হোসেনসহ কয়েকজন জানায়, জেলা পরিষদের
অনুমতি না নিয়ে রাতারাতি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ৩-৪ লাখ টাকা মূল্যের গাছটি কাটা
হয়েছে। শুধু দূর থেকে নিজের বাড়িটি দেখানোর জন্য এটি করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী শামছুল
আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘ইউএনওর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই গাছটি কাটা হয়েছে। আপাতত কাটা গাছের
টুকরাগুলো আমার বাসার ভেতরে রাখা হয়েছে।’
রায়পুর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান বলেন, ‘গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করায় কয়েকটি ডালপালা
কাটার অনুমতি দিয়েছি। ওই ডালপালাগুলো উপজেলায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। গাছ কাটার কোনো
অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও কেন কাটা হয়েছেÑ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা
পরিষদের সার্ভেয়ার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার খবর পেয়েছি।
আমরা লোক পাঠিয়েছি। কাটা গাছের অংশগুলো আমাদের জিম্মায় নিয়ে আনা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’