সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৭ পিএম
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৫৩ পিএম
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে কমিটি। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত দীঘিনালার লারমা স্কয়ার পরিদর্শন করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সে সময় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও এবং পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হবে। হতাহতদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গেও কথা বলেন কমিটির সদস্যরা। নুরুল্লাহ নূরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সহিংসতার ঘটনায় কেউ বাস্তুচ্যুত হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। ধাপে ধাপে আমরা রাঙামাটি ও বান্দরবানেও কাজ করব।’
এদিন বিকালে রুবেল ত্রিপুরা ও জুনান চাকমাকে ব্রাশফায়ারে হত্যার ঘটনাস্থল খাগড়াছড়ির নারানখাইয়া, স্বনির্ভর এবং মোটরসাইকেল চুরির সন্দেহে গণপিটুনিতে মামুন হত্যার ঘটনাস্থল নিউজিল্যান্ড এলাকা পরিদর্শন করে কমিটি। পরে উপজেলা পরিষদে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা।
সহিংসতার ঘটনা তদন্তে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল তদন্তকালে কমিটির অন্যতম সদস্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন নাহিদ চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায়, দীঘিনালার ইউএনও মামুনুর রশীদ, দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে বাইক চুরির ঘটনায় গণপিটুনির শিকার হয়ে মামুন নামে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসতবাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও রাঙামাটিতে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। নিহত হয় চারজন।