ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২১ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২৪ পিএম
নিহত শাওন খান।
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন সেট চুরির ঘটনার বিরোধের জেরে হামলার শিকার শাওন খান নামে এক স্কুলছাত্র মারা গেছে। গত বুধবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়। শাওন উপজেলার তেলিখালী গ্রামের শাহীন খানের ছেলে। সে স্থানীয় তেলিখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শাহিন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
মামলা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই শাওন একটি মোবাইল ফোন নিয়ে স্কুলে যায়। মোবাইলটি শ্রেণিকক্ষ থেকে সহপাঠী কেউ একজন চুরি করে। পরে শাওন তার সহপাঠী সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে শাহেদ বীনকে সন্দেহ করে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শ্রেণি শিক্ষক আবুল হোসেনের কাছে অভিযোগ করে। পরে তিনি অভিযুক্ত শাহেদকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে শাওন ওই জরিমানার টাকা বুঝে পায়নি। এ নিয়ে শাহেদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়।
পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনার জের ধরে শাহেদ কয়েকজন সহযোগী নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বেড়িবাঁধে শাওনকে আটকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
শাওনের চাচা সাইদুল খান বলেন, মোবাইল নিয়ে বিরোধে আমার ভাইয়ের ছেলেকে শাহেদ বীন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা হামলা চালায়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওন মারা যায়। এ হত্যাকাণ্ডের কঠোর বিচার দাবি করছি।
শ্রেণি শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, মোবাইল চুরির বিষয়ে শাহেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি মিটিয়ে দিই। পরে শাওনকে কে বা কারা হামলা চালিয়ে আহত করেছে, সে বিষয়ে কিছুই জানি না।
ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. জিয়াউল বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা শাহীন খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।