ময়মনসিংহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩১ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪৯ পিএম
নিহত চিকিৎসক তারিকুল আলম নোমান।
ময়মনসিংহে বিছানার পাশে মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে যান চিকিৎসক তারিকুল আলম নোমান (৪২)। সেখান থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ময়মনসিংহ নগরীতে তারিকুল আলম নোমানের নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তারিকুল আলম নোমান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি নগরীর বাউন্ডারি রোডের পিয়নপাড়া এলাকার মৃত তাহির উদ্দিনের ছেলে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশের উপপরিদর্শক শফিক উদ্দিন পরিবারের বরাতে বলেন, অর্থপেডিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারিকুল আলম নোমান বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের দিকে অপারেশন করে নিজ বাসায় ফিরেন। একটি রুমে একা ঘুমাতে যান। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতাল থেকে যাওয়ার পর রাতের কোনো একসময় মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শর্টসার্কিট হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, এ সময় পরিবারের কেউ টের না পাওয়ায় ওই চিকিৎসকের দুই হাত, বুক, নাক-মুখ পুড়ে যায়। পরে ফজরের সময় রুম থেকে পোড়া গন্ধ আসে। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন দরজা খুলে তারিকুল ইসলাম নোমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত তারিকুলের ভাই তাসরিকুল আলম শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নেওয়ার আবেদন করেন। পুলিশের কাছেও আবেদন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলতেও রাজি হয়নি।
কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল বলেন, আমরা ধারণা করছি, মুঠোফোনটি চার্জে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়ে শরীরে আগুন ধরে যায়। কী কোম্পানির মুঠোফোন ছিল, তা জানা যায়নি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।