রিফাত আবির, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৫ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের কড়িকান্দি ফেরিঘাট-বাঞ্ছারামপুর-জীবনগঞ্জ বাজার সড়কের ১৮ কিলোমিটার সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গার কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রায়ই গর্তে যানবাহন আটকে দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর, কসবা, কুমিল্লা জেলার হোমনা, তিতাস, মুরাদনগর ও দেবিদ্বার উপজেলার লোকজন যাতায়াত করে। মোট ৭ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে এখন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অনুরোধ করেছে এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সড়ক ও জনপথের ৫১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা সদর থেকে হোমনা ১৩ কিলোমিটার। কড়িকান্দি ফেরিঘাট থেকে পূর্বহাটি সল্পা সেতু পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার। কড়িকান্দি ফেরিঘাট থেকে জীবনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এসব সড়ক ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর, কসবা, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, দেবীদ্বার, হোমনা ও তিতাস উপজেলার লোকজন এই পথে মালামাল আনা-নেওয়া ও যাতায়াত করে। বিশেষ করে কড়িকান্দি ফেরি পার হয়ে স্বল্প সময়ে ঢাকা যাওয়া যায়, এ কারণে সড়কটি পার্শ্ববর্তী উপজেলার চালক ও যাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করলেও সড়কগুলোর বেহাল দশা। বিশেষ করে কড়িকান্দি ফেরিঘাট-বাঞ্ছারামপুর সদর-জীবনগঞ্জ বাজার সড়কের ২৩ কিলোমিটার বেহাল দশা।
সরেজমিনে কড়িকান্দি-বাঞ্ছারামপুর-জীবনগঞ্জ সড়কে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, একটু বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো দিয়ে যান চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। এসব গর্তের কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে ছয়ফুলাকান্দি বাজারে উত্তর ও দক্ষিণ পাশের গর্তগুলো এতই গভীর যে বৃষ্টি হলে সিএনজি তলিয়ে যায়। দশআনীমোড়ে ও তার পাশে রয়েছে বড় দুটি গর্ত। দীর্ঘদিন গর্তগুলো সংস্কার না হওয়ায় কোনো রকমে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। আইয়ুবপুর গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়, চরছয়ানী ও কানাইনগর, দুর্গারামপুর-জগন্নাথপুর ব্রিজের পূর্ব পাশের রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় সড়ক। তখন যান চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
সিএনজিচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই রাস্তাটি অনেক বছর ধরে বেহাল দশা। মাঝেমধ্যে একটু একটু ইট ফেলে মাত্র। এতে আরও চলাচল ব্যাহত হয়, বৃষ্টির দিনে যান চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
নবীনগরের মাইক্রোবাসচালক শাহ জালাল জানান, এই সড়ক ব্যবহার করে প্রায়ই ঢাকা যাতায়াত করি, কিন্তু রাস্তার বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্ত থাকার কারণে যান চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়। একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকার কারণে গাড়ি আটকে যায় গর্তের মধ্যে। অনেক দিন ধরে এই অবস্থা থাকলেও সংস্কার না হওয়ায় বাড়ছে আমাদের দুর্ভোগ।
সড়ক ও জনপথ বাঞ্ছারামপুর কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে ফেরিঘাট থেকে জীবনগঞ্জ বাজারের রাস্তায় অনেক জায়গায় ভেঙে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে এই গর্তগুলো সংস্কারের কাজ করছি আমাদের নিজস্ব লোকজন দিয়ে।