সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫৫ পিএম
সাতক্ষীরার সুন্দরবনের মালঞ্চ নদী উপকূলের তরুণদের ব্যতিক্রমী নদী বন্ধনে বিশ্বনেতাদের কাছে জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন উপকূলের দুর্যোগ ভুক্তভোগী তরুণরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ভাঙনকূলে উপকূলীয় অঞ্চলের অর্ধশতাধিক যুব এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এ নদী বন্ধনে অংশ নেন। বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ)-এর সহায়তায় বনজীবী ইয়ুথ টিম ও উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি আয়োজিত এ নদী বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বনজীবী ইয়ুথ টিমের সভাপতি মো. শামীম হোসেন।
বারসিকের যুব আন্দোলনের সংগঠক ওসমান গণি সোহাগের সঞ্চালনায় নৌবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সবুজ সংহতির শেফালী বিবি, এসএসএসটির আহ্বায়ক প্রকাশ মণ্ডল, স্বেচ্ছাসেবক আব্দুর রহমান, আল মামুন, তাওহিদ হোসেন, জুলেখা আক্তার, তানিয়া পারভীন, শরিফা খাতুন, নাছরিন আক্তার প্রমুখ।
বনজীবী শেফালী বিবি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা যারা বনে যাই তারা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ি। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মধু কম হয়েছে। তা ছাড়া বর্ষাকাল না হলেও অতিবৃষ্টি হয়, যেকোনো সময় ঝড় হয়, তখন বন বিভাগ থেকে পাস দেয় না, আমরা মাছ-কাঁকড়া ধরতে যেতে পারি। বেড়িবাঁধগুলোর করুণ অবস্থা। সরকার যদি এখনই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
সমাজকর্মী বুলবুল হৃদয় জানান, কলকারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন খাতে প্রতিনিয়ত যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হয় তার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তাদের পুঁজিবাদী মনোভাবের কারণেই পৃথিবী আজ ধ্বংসের মুখে।
ইয়ুথ টিমের সভাপতি শামীম হোসেন বলেন, সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলোর কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম তহবিল বন্ধ করাসহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোর জন্য জলবায়ু ক্ষতিপূরণের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।