সিরাজগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০০ পিএম
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০১ পিএম
হতাহতদের পরিবারের কাছে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। প্রবা ফটো
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম শামীমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে উপজেলার গঙ্গাপ্রশাদ এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের নিজস্ব বাসভবনে হতাহতদের পরিবারের কাছে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট শাহজাদপুর পৌরসভার সুজন মাহমুদ ও কৈজুরী ইউনিয়নের অন্তর ইসলাম ঢাকায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এদিকে গত ৪ আগস্ট খুকনী ইউনিয়নের ইয়াহিয়া হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তাই তাদের পরিবারের স্বচ্ছতা ফেরাতে নিহতের পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।
এছাড়া গত ৪ আগস্ট এনায়েতপুরে আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয় কৈজুরি ইউনিয়নের রিয়াদ হাসান ও রনি সরকারসহ অনেকেই আহত হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
এ সময় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম শামীম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকেই নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন । তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে নতুন বাংলাদেশ। তাদের পরিবার সাহায্য করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই যারা ব্যবসায়ী রয়েছেন ও অর্থশালী ব্যক্তি রয়েছেন প্রত্যেকেরই হতাহতের সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত ।
নিহত সুজন মাহমুদের বড় বোন রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার ছোট ভাই সুজন মাহমুদ ঢাকায় মিরপুরে ছোটখাটো ব্যবসা করতো প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে যাওয়ার সময় গত ৫ আগষ্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পরে আমরা জানতে পারি এবং পরে মরদেহ উদ্ধার করে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি। আমার ভাইয়ের আয় দিয়ে আমার পরিবার চলতো।
আন্দোলনে নিহত অন্তর ইসলামের বাবা আব্দুল হক প্রমানিক বলে , আমার ছেলে শাহাজাদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করতো অনার্স তৃতীয় বর্ষে ও পাশাপাশি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো। ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিল আমার ছেলে অন্তর । সে মারা যাওয়াতে আমার পরিবারে অনেক ক্ষতি হয়েছে। বুড়ো বয়সে ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম কিছু অর্থ সহায়তা করেছে।
উল্লেখ, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন বয়সের ৩৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় কয়েক শতাধিক।