চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৫ পিএম
ফাইল ফটো
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকায় বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও ভিনদেশি কোনো নাগরিক যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে এজন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানে রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
এই সিদ্ধান্ত প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি সহজ করতে সহায়ক হবে। এতে স্থানীয় এলাকার ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম আরও সহজীকরণ হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব তথ্য জানান।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী বলেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকায় বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও ভিনদেশি কোনো নাগরিক যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে। এছাড়া প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তিসহ অন্যান্য সময় ভোটার তালিকা বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ সহজীকরণের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচ জেলাকে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এসব বিশেষ এলাকার নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধনের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ‘এ ক্যাটাগরির ভোটার হতে এসএসসি/সমমান বা তদুর্ধ্ব অনলাইন সনদ, ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ এবং বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে। তবে সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান হলে সরকারি চাকরির প্রমাণ স্বরূপ অফিস প্রধানের কাছ থেকে সত্যায়িত সার্ভিস বইয়ের কপি, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র দিতে হবে।
তিনি বলেন, যদি এসএসসি/সমমান বা তদুর্ধ্ব সনদ না থাকে তাহলে তাদের ‘বি’ ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এক্ষেত্রে ভোটার হতে ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ও অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ ছাড়াও বাবা-মায়ের এএফআইএস (অটোমেটিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) যাচাই, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ (জেলা প্রশাসন অথবা পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে রাজা কর্তৃক প্রদত্ত) অথবা ভূমিহীন সনদ, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের রশিদ বা পর্চা, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে তবে তার কপিও সংযুক্ত করতে হবে। যদি বাবা-মায়ের মধ্যে একজন বেঁচে থাকে এবং তিনি ভোটার হয়ে থাকলে তার এএফআইএস যাচাই এবং অন্যজনের অনলাইন মৃত্যু সনদ জমা করতে হবে। আর বাবা-মা কেউ বেঁচে না থাকলে উভয়ের অনলাইন মৃত্যু সনদ জমা করতে হবে।
অন্যদিকে বিশেষ এলাকার যেসব বাসিন্দা ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি ‘এ’ এবং ক্যাটাগরি ‘বি’এর আওতায় পড়বে না তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। সেক্ষেত্রে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম বিশেষ কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
মতবিনিময়কালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. এনামুল হকসহ নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।