কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৮ পিএম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভারত তাদের বাঁধের দরজাগুলো খোলার আগে বিষয়টি চাইলে বাংলাদেশকে আগেই জানাতে পারত। তবে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই ভারতের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর ভেঙে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বাঁধের দরজা খোলার আগে ভারত বাংলাদেশকে বিষয়টি জানতে পারত। তারা প্রয়োজনে আমাদের এটা বলত— এখানে বৃষ্টিপাত বাড়ছে, কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের বাঁধের দরজাগুলো খুলে দেব বা খুলে যাবে। তোমরা প্রস্তুতি নাও। অন্তত এটুকু জানাতে তো কারও কোনো আপত্তি থাকার কারণ নেই। বিষয়টি আগে জানতে পারলে আমরা কিছুটা হলেও প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেতাম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এত দিন ক্ষয়ক্ষতির হিসাবের জন্য অপেক্ষা করেছি। এখন ক্ষতির হিসাব হয়ে গেছে। এখন অবশ্যই আমরা ভারতের সঙ্গে বিষয়টি তুলব।’
নদী দখলের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কি ভ্রান্ত একটা উন্নয়ন দর্শনের মধ্যে থাকি। মনে করি, বিল্ডিং হওয়া মানে উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ২০০০ এর বেশি স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। ভাঙতে চাইলে ভাঙা যায়। নদীর ওপরে স্থাপনা করার তো কারও কোনো আইনগত অধিকার নেই। নদীর ওপর স্থাপনা করার অনুমতি দেওয়ার রাইট সরকারের নাই। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যেমন স্থাপনা করার অধিকার নেই, সরকারেরও তাদের স্থাপনা করার অনুমতি দেওয়ার নিয়ম নেই।’
নদীরক্ষা কমিশনের কাছে ৬৬ হাজার দখলদারের তালিকা আছে দাবি করে রিজওয়ানা বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে মিটিং করেছি। বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই মাসের মধ্যে দেশের সকল নদ-নদী ওই ৬৬ হাজার দখলদারের হাত থেকে কেমন করে বাঁচাবে, কেমন করে দখলগুলো ভাঙবে, দুই মাসের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা দিন। বিভাগীয় কমিশনাররা জেলা প্রশাসককে বলবে এবং সেগুলো ভাঙার কাজ শুরু হবে।’
এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. আমিরুল হক ভূঁইয়া, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান প্রকৌশলী আবু তাহের, কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।