× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ফের অশান্ত গাজীপুর-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল, বন্ধ ৫৫ কারখানা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১৮ পিএম

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:২৬ পিএম

ফের অশান্ত গাজীপুর-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল, বন্ধ ৫৫ কারখানা

কয়েক দিনের শ্রমিক বিক্ষোভ শেষে স্বস্তি ফিরেছিল গাজীপুর-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে। শ্রমিকরা কাজে ফেরায় পূর্ণগতিতে শুরু হয় উৎপাদন। কিন্তু বকেয়া বেতন ও বিভিন্ন দাবিতে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে গাজীপুর-আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন একটি তৈরি পোশাক কারাখানার শ্রমিকরা।

এ ছাড়া নতুন করে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় সোমবার অন্তত ৫২ পোশাক কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে ৪৩ কারখানায় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ এবং ৯টিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে গাজীপুরেও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ ছিল তিন কারখানা। পাশাপাশি টঙ্গী ও জয়দেবপুরে সোমবার বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ছাড়া জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় একটি খাদ্য উৎপাদন কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও কারখানা ভাঙচুর করার চেষ্টা করায় ছয়জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের কারণে আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। 

আশুলিয়া ও সাভার (ঢাকা) প্রতিবেদক জানান, সোমবার সকালে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় জেনারেশন নেক্সট পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।



শ্রমিকরা জানান, অনেক কারখানায় বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করলেও আমাদের কোনো চাওয়া ছিল না। অন্য কারখানার শ্রমিকরা এসে আমাদের ফ্যাক্টরিতে ঝামেলা করলেও আমরা কাজ করেছি। তবুও বেতন বাকি রেখে আমাদের কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘আমরা আগস্ট মাসের বেতন এখনও পাই নাই। প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার শ্রমিক চরম অসহায় ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।’

এদিকে নতুন শ্রমিক অসন্তোষের জেরে সোমবার অন্তত ৫২টি পোশাক কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যার মধ্যে ৪৩ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৯টিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এগুলোর মধ্যে ৪৩টি কারখানা শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারায় (নো ওয়ার্ক, নো পে) ভিত্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু কারখানার গেটে ১৩(১) ধারার নোটিস দেখা গেছে। 

এদিকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা সত্ত্বেও শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রম খাত ও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদেশি ক্রেতারা। অনিশ্চয়তায় নতুন করে কার্যাদেশ আসছে না বলেও জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি কারখানার মালিক।

তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও পরিস্থিতির তেমন কোনো হেরফের হচ্ছে না। কোথাও কোথাও ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা দাবি করায় নতুন করে অস্থিরতার তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কারখানা চালু রাখার মতো অবস্থা নেই।’ 

শিল্পমালিকদের অভিযোগ, আর্মড পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সহায়তা পেয়েও পুলিশ আগের মতো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে না।

তবে শিল্প পুলিশ বলছে, শ্রমিক অসন্তোষের জেরে এই অঞ্চলে ৫২টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বলপ্রয়োগ করে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মোকাবিলার কৌশল ফল দেবে না। বরং পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে। মালিক-শ্রমিকদের আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধি ও পরস্পরের সমঝোতার মাধ্যমেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরামর্শ তাদের।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘সকালে নরসিংহপুর এলাকায় একটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে।’ 

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘আজ (সোমবার) আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ৫২ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে জেলা পুলিশ, আর্ম পুলিশ, শিল্প পুলিশ, বিজিবি ও সেনাসদস্যদের যৌথ টহল।’ 

টঙ্গী (গাজীপুর) সংবাদদাতা জানান, চার দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সিজন ড্রেসেস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে টঙ্গী খাঁপাড়া এলাকায় মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এতে চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। 

শ্রমিকদের চার দফা দাবি হলোÑ ২ মাস ১৫ দিনের বকেয়া বেতন পরিশোধ, অতিরিক্ত শ্রমের মজুরি, তিন বছরের ছুটির টাকা দেওয়া এবং প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ। 

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, কারখানাটিতে গত জুন মাসের ১৫ দিনের এবং জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বাকি রয়েছে। শ্রমিকরা এক সপ্তাহ ধরে বেতন পরিশোধের তাগাদা দিলেও কর্তৃপক্ষ বকেয়া পরিশোধ করছে না। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই কারখানাটির ভেতরে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। 

এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এরপর জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করে মালিকপক্ষ। বকেয়া বেতনের দাবিতে ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে আরও তিন দফা দাবি যুক্ত করে কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (টঙ্গী জোন) মোশারফ হোসেন বলেন, ‘কারখানার মালিক সময়মতো বেতন পরিশোধ না করায় গত কয়েক দিন ধরে কারখানাটিতে শ্রমিক আন্দোলন চলছে। আজ (সোমবার) সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পৃথক দুটি দল উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হয়।’

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক জানান, সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সড়কের উভয় পাশে রাজেন্দ্রপুর থেকে মাওনা চৌরাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সকল দাবি মেনে নিলে দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- হাজিরা বোনাস ও নাইট বিল বৃদ্ধি, টিফিনের মান উন্নত, বার্ষিক অর্জিত ছুটির টাকা প্রতিবছরের প্রথম মাসে পরিশোধ।

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, সোমবার তাদের পাশের মণ্ডল ইন্টিমেন্টস পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলন করে তাদের দাবি পূরণ হওয়ার পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। ওই কারখানার শ্রমিকদের মতো আমরাও দাবি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (বাঘের বাজার জোন) সুমন মিয়া বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে সড়ক থেকে সরে গেলে চার ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’

এসব বিষয়ে গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড পোশাক কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রেজাউল করিম জানান, শ্রমিকদের সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর প্রতিবেদক জানান, জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় একটি খাদ্য উৎপাদন তৈরি কারখানার শ্রমিকরা সোমবার সকালে বিক্ষোভ করেন। এ সময়ে শ্রমিকরা আধা ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধ রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সোনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ছয়জনকে আটক করে। এ ছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার পৃথক এলাকায় তিনটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

আটকৃতরা হলেনÑ খোকন মিয়া, সোহাগ মিয়া, নাজমুল মিয়া, উজ্জল হোসেন, শাকিল আহাম্মেদ ও মোবারক হোসেন। বন্ধ কারখানাগুলো হলোÑ উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকার মাহমুদ ডেনিম, বক্তারপুর এলাকার ইকু নিট (সামহার) ও কোকোলা ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড। 

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানান, মৌচাকের কোকোলা ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা গত রবিবার সকালে কাজে যোগ দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিকরা মজুরি ন্যূনতম সাড়ে ১২ হাজার টাকা, হাজিরা বোনাস ৮০০ টাকা, সাধারণ ও বার্ষিক ছুটিসহ ১২ দফা দাবিতে কারখানার ভেতর বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে। 

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পরও ফের সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কারখানায় প্রবেশ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়।

কারখানার শ্রমিক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কারখানায় পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে। তাদের সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার টাকা। এই টাকায় জীবনযাপন করতে পারছি না। অনেক দিন ধরে সর্বনিম্ন বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার দাবি জানালেও মালিকপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি।’ 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের (জোন-২) পরিদর্শক নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কারখানা বন্ধ থাকার পরও উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা ভেতরে জোরপূর্বক প্রবেশ করায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েকজনকে আটক করেছে।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা