কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০৮ পিএম
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:১২ পিএম
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চালাকালে এক যুবককে হত্যাচেষ্টায় দায়ের করা মামলার তিন দিন পর ছয় আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এর প্রতিবাদে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি ও এজাহারনামীয় এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদা সুলতানা তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এ সময় প্রতিবাদ জানিয়ে জামিন প্রত্যাহারের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। তারা বিচারকের পদত্যাগসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। জামিন বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানায় আন্দোলনকারীরা।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডে তামজিদ হোসেন জনি নামের একজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর ভাই জিলহজ হোসেন। মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি মাহবুব-উল আলম হানিফসহ ৭৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৪০ থেকে ৪৫ জনকে। মামলায় ওই দিন কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল হক মুরাদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম নজু ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছ কোরাইশী, ছেউড়িয়া এলাকার সুমন ও দূর্বাচারা এলাকার লাবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার অন্যতম সমন্বয়ক তৌকির আহম্মেদ বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের বলা হয়েছে শুধু অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অপরাধীরা গ্রেপ্তার হওয়ার এক দিনের মাথায় তারা জামিনও পাচ্ছে। এই জামিন স্থগিত করতে হবে।’
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সলিম উদ্দিন নিশাত বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ছয়জনকে ৩২৬ ও ৩৪৩ ধারা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিন দিয়েছেন। এটা কোনোভাবেই কাম্য না। আরেক মামলায় একই ধারা থাকলেও তাদের জামিন দেওয়া হয় নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগের তিনজন কমিশনারসহ ছয়জনকে জামিন দিয়েছেন। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।’