প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৩ পিএম
গ্রেপ্তার সঞ্জিত বিশ্বাস। প্রবা ফটো
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা পরিদর্শনে গিয়ে সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গ্রেপ্তার সঞ্জিত বিশ্বাস বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি গ্রামের নিশিকান্ত বিশ্বাস গতকাল গণমাধ্যমে প্রকাশিত সঞ্জিতের ছবি দেখে তাকে নিজের ছেলে বলে দাবি করেন।
ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সঞ্জিতের বাবা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তার ছেলে সঞ্জিত বিশ্বাস মানসিকভাবে অসুস্থ। প্রায় ২৪-২৫ বছর বয়সে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়ে অনেক দিন ছিলেন। পরে দেশে ফিরেন।
নিশিকান্ত বিশ্বাসের বরাতে তিনি জানান, সঞ্জিত প্রায় ৪ বছর আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি এবং পরিবারের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। এর আগে সঞ্জিত প্রায়ই ভারতে যাতায়াত করতেন।
গত ১৪ সেপ্টম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা বাজারে হরি ও কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পরদিন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে গিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে সঞ্জিত বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সঞ্জিত সেসময় নিজের বাড়ি ভারতের নদিয়া জেলায় বলে দাবি করেন। মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ করে পুলিশ।
সঞ্জিতকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে গতকাল পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্তকালে কালী মন্দিরের সামনে পরিত্যক্ত খাটের ওপর শয়নরত অবস্থায় একজন ও খাটের পাশে মাটিতে আরেকজন ব্যক্তিকে দেখতে পাওয়া যায়। তাদের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয়রা পরিচিত বলে শনাক্ত করেন। অন্য ব্যক্তিকে নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নাম-পরিচয় না জানালে তার ওপর সন্দেহ হওয়ায় তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের নাম সঞ্জিত এবং ভারতের নদিয়া জেলায় তার বাড়ি বলে পরিচয় দেন। একইসঙ্গে তার বাবার নাম নিল কান্ত বিশ্বাস বলে জানান পুলিশকে।
এখন সঞ্জিতকে নিজের ছেলে বলে গোপালগঞ্জের নিশিকান্ত বিশ্বাসের দাবির ব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, সঞ্জিত বিশ্বাস দেখতে মানসিকভাবে অনেকটা ভারসাম্যহীন, তার কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল তখন। গণমাধ্যমে তার ছবি দেখে নিশিকান্ত বিশ্বাস তাকে নিজের ছেলে বলে দাবি করেছেন। তার দাবি যাচাই করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সঞ্জিত মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরে তার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।