প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০২ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০৬ পিএম
দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরে। ঢাকার অদূরে টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কে কাভার্ড ভ্যান-সিএনজির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কালীগঞ্জের মূলগাঁও মাদ্রাসা-সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেনÑ নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার আখরাশাল এলাকার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৭০) ও ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫৫), মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমান উল্লাহ (৫), গাজীপুরের নোয়াগাঁও অষ্টগণ কলোনির সুবাস কর্মকারের ছেলে অমল কুমার কর্মকার (৩৯) এবং সাতক্ষীরা সদরের হাজীপুর এলাকার মগরব আলীর ছেলে নাজমুল (৩৫)।
গাজীপুর প্রতিবেদক জানান, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মূলগাঁও মাদ্রাসা-সংলগ্ন এলাকায় রাত পৌনে ১১টার দিকে প্রাণ-আরএফএলের কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এক ছেলে শিশু (৫) ও সিএনজি চালককে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় সিএনজি চালককে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক নারীসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয়রা হাসপাতালে নেওয়ার পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রেজিনা আফরিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ ছাড়া মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা সিএনজি চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশগুলো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। স্বজনরা এলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
পাবনায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাতজন। পাবনা প্রতিবেদক জানান, রবিবার সকালে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের সাহাপুর নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেনÑ পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শিমুল হোসেন (৩২) ও একই উপজেলার ইসলাম গাঁতি ভাটাপাড়া গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে সফর আলী (৩৫)। আহত হয়েছেন গাঁতি গ্রামের হামিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, সাহাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম, ইসলাম গাঁতি গ্রামের ইসমাইল হোসেন, হারেছ আলী, রবিউল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ।
রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি হলেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক অফিস সুপার এসএম আসলাম (৫৭)।
রাজবাড়ী প্রতিবেদক জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর আসলাম তার পুত্রের বাসায় টাঙ্গাইলে বেড়াতে যান। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকালে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মসজিদ দেখতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বগুড়ায় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ জন। বগুড়া প্রতিনিধি জানান, বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিপুল নামের একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের উদ্দিরকোলা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিপুল শহরের মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার জুয়েলের ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল ফাঁড়ির এএসআই লালন হোসেন।
উদ্দিরকোলা বাজারের প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বিপুলসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে গাবতলীর দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে বিপুল নিহত এবং মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলায় বিপরীতমুখী একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস রাস্তার পাশের পুকুরে উল্টে পড়ে গেছে। এতে অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাট-পাঁচবিবি সড়কের সদর উপজেলার পুরানাপৈল বনখুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।