× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নান্দাইলে মাদ্রাসা সুপারের অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মধ্যাঞ্চলীয় অফিস

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৯ পিএম

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১৮ পিএম

উপজেলার মুশুলি ইউনিয়নের চপই মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। প্রবা ফটো

উপজেলার মুশুলি ইউনিয়নের চপই মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। প্রবা ফটো

ময়মনসিংহের নান্দাইলের চপই দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. হারুন অর রশিদের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুশুলি ইউনিয়নের চপই মাদ্রাসার সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

চপই দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল গাফফার মাদ্রাসায় না গেয়েও সুপারের সহযোগিতায় বেতন উত্তোলন করেন।

জানা গেছে, শিক্ষক আব্দুল গাফফার ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর চপই মাদ্রাসায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতা ও বেতন বিলের শিটে নিয়মিত স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে ১৭ হাজার ৬২০ টাকা করে বেতন উত্তোলন করেছেন। এই ভাবে তিনি ৯ মাস বেতন উত্তোলন করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। পরে আব্দুল গাফফার অপরাধ ঢাকতে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ওই শিক্ষক যোগদানের দিন কয়েক ঘণ্টার জন্য মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর আর কখনও দেখা যায়নি। কিন্তু মাদ্রাসা সুপার ও সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম মিলে অনুপস্থিত শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে প্রতিমাসেই বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন।

চপই দাখিল মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করতে পারি না। নতুন বই বিক্রি করে দেন, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে বাড়তি ফি আদায় করেন সুপার মো. হারুন অর রশিদ স্যার। সপ্তাহে ক্লাস বন্ধ রেখে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করে। এর প্রতিবাদ করলে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, শিক্ষক গাফফার একবার এসেছেন, সেটা সঠিক নয়। মাঝেমধ্যে এসে স্বাক্ষর করে গেছেন। তাহলে মাস শেষে বেতন উত্তোলন করলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ বিষয়। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল গাফফারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভি করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কেন বিষয়টি তিনি গোপন করেছেন তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সুপারকে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা