দেড় যুগ পর প্রকাশ্যে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

দেড় যুগ পর চট্টগ্রামের রাউজানে প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলন করেছে জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পথেরহাটের একটি কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা জামায়াত আমির শাহজাহান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার শূরা সদস্য ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুল হামিদ চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন উত্তর জেলার শূরা সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ আলোচক ছিলেন শূরা সদস্য মাওলানা জামাল হোসাইন।

উপজেলা সেক্রেটারি রিদুয়ান শাহের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক বেলাল মোহাম্মদ, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মো. আবুল হাশেম, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি ইউসুফ ইমন, আকতার কামাল। আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মো. আবু বকর, সাবেক সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম আনসারী, মো. হারুন আল রশিদ, হাফেজ মো. শহিদুল ইসলাম। 

বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের ইতিহাস আয়নাঘরের ইতিহাস, হত্যা-দুর্নীতির ইতিহাস। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার যে রাজাকার নামটি ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগে, মিথ্যা মামলায় আমাদের দলের শীর্ষনেতাদের শহীদ করেছেন, সেই রাজাকার শব্দটি জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এই স্বৈরাচার সরকার থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশের মানুষ। আমরা পেয়েছি নতুন স্বাধীনতার স্বাদ। এই অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা খুন, গুম ও দুর্নীতিমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। 

সম্মেলন শেষে একটি মিছিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের নোয়াপাড়া পথেরহাট প্রদক্ষিণ করে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে দক্ষিণের পাহাড়তলী, নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, কদলপুর, উরকিরচর, পূর্ব গুজরা ও পশ্চিম গুজরা থেকে দলটির কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন। এর আগে ২০০৭ সালের প্রথমদিকে উপজেলা সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দলটির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।