× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

টাঙ্গাইলে তিন খুন

মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই হত্যা

টাঙ্গাইল প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৯ পিএম

মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই হত্যা

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাচা-ভাতিজা খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিহত ছাত্তারের ছেলে আরিফ হোসেন বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নাগরপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার ধুবরিয়া ইউনিয়নের ধুবরিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে আসাদুল ইসলাম ও বাঁশি মিয়ার ছেলে তালেব মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। উত্তরাঞ্চল থেকে তারা ইয়াবা এনে গ্রামে বিক্রি করতেন। তারা দুজনই মাদকাসক্ত ছিলেন। ইয়াবার ব্যবসা ও ভাগাভাগি নিয়ে দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়। এরপর এলাকায় দুজনের দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। এর আগেও মাদক ব্যবসা নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। 

আসাদুলের চাচাতো চাচা আব্দুস ছাত্তার ধান-চাল ও সরিষার ব্যবসা করেন। তিনি এলাকার বিচার-সালিশও করেন। তিনি দুজনকে এর আগেও মাদক ব্যবসা বাদ দেওয়ার জন্য শাসিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মাদক ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তালেব আসাদুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় চাচা আব্দুস ছাত্তার এবং আজমল নামে একজন আসাদুলকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করেন তালেব। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আসাদুল ও ছাত্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। আজমলকে গুরুতর অবস্থায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত ছাত্তারের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, আমার চাচাতো ভাই আসাদুল মাদকাসক্ত ছিলেন। গ্রামে মাদক নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। একটি গ্রুপের প্রধান তালেব। তার সঙ্গে মাদক নিয়েই ঝামেলা হয়। রাতে হঠাৎ করে তালেব এসে ভাইকে কোপাতে থাকেন। বাবা বাধা দিতে গেলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন। তালেব ছাড়াও যারা এই হত্যায় ইন্ধন দিয়েছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। 

ধুবরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম খান শাকিল বলেন, হত্যাকারী তালেব ও আসাদুল দুজনই মাদকাসক্ত ছিলেন। মূলত মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্তার মিয়া অত্যন্ত ভালো লোক ছিলেন। ভাতিজাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত চাচা-ভাতিজা ও তালেবের লাশ টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় নিহত ছাত্তারের ছেলে আরিফ হোসেন বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া গণপিটুনিতে নিহত তালেবের পরিবারের কেউ মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা