চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০০ পিএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩৫ পিএম
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে।
মামলায় হুকুমদাতার নির্দেশে জনতাবদ্ধ হয়ে বেআইনিভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এ জে চৌধুরী কলেজের সাবেক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীর মামলাটি করেন। মামলায় পেনাল কোডের ১৪৩, ৩২৩, ৩০৭, ৫০৬/১১৪ ধারা উল্লেখ করা হয়।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীর নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’
মামলার আসামিরা হলেন- কর্ণফুলী এ জে চৌধুরী কলেজ বর্তমান আব্দুল জলিল চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসীম উদ্দিন (৫২), সমীর রঞ্জন নাথ (৪৫), মনোয়ারা বেগম (৪২), শামীমা আক্তার চৌধুরী (৪৭), পাঁচলাইশ মির্জারপুল এলাকার মোস্তফা মো. ইমরান (৩৮), চকবাজার কাপাসগোলা এলাকার মনসুরুল আনোয়ার (৫৮), জয়সেন বড়ুয়া (৫০), সদরঘাট গোসাইডাঙার এম এ সেলিম (৫৫), পাঁচলাইশ এলাকার ছোটন দত্ত, জামাল খান এলাকার আবুল কাশেম, চকবাজার এলাকার মোক্তার আহাম্মদ প্রকাশ লেদু, পটিয়ার কাজী মহি উদ্দিন (৫০) এবং ভূজপুর থানার মো. ইয়াকুব (৫০)। মামলার অন্য আসামিদের নাম জানা যায়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত ভবন মিলনায়তনে আলাপ শেষে কোতোয়ালি থানার পশ্চিমে জনতার সমাবেশে বাদী যোগ দিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয় এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। বাদী বাঁ পা রক্তাক্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। বাদীর অভিযোগ জনতার ফাঁকে গুলি করে তাকে মেরে ফেলতে পরস্পর যোগসাজশে হামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে দুয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তারা সেসব জায়গায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এসব খবরের সত্যতা নিশ্চিতে ধোঁয়াশা কাটছে না। এমনকি বাকিদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কোনো ধরনের অভিযোগের উল্লেখ নেই। এমনকি কে কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তা-ও স্পষ্ট করা হয়নি।