সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩০ পিএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৭ পিএম
মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত মৃত নবজাতক। প্রবা ফটো
ফরিদপুরের সালথায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক গর্ভবতী নারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে ওই নারীর রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং মৃত সন্তান প্রসব করেছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই নারীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীর পরিবারের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি পক্ষের লোকজনের হামলায় ইয়ার আলী (৫২) নামের এক মুদি দোকানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার মারা যান। এর পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে মাঝেমধ্যেই ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আমাদের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। বাধা দিলে গর্ভবতী ওই নারীর গলা টিপে ধরা হয়। এক পর্যায়ে পেটে লাথি মারা হলে রক্তক্ষরণ হয়। ওই রাতেই মৃত সন্তান প্রসব করেন। রাতে হাসপাতালে নিতে দেইনি প্রতিপক্ষের লোকজন। অতঃপর পাশের গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় শুক্রবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
তবে এ সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও একটা পক্ষকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা বলে দাবি করেছেন বিপরীত পক্ষের গ্রাম্য নেতা আইয়ূব মাতুব্বর। তিনি বলেন, ‘ওই নারীকে কোনো মারধর কিংবা নির্যাতন করা হয়নি। এরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের পক্ষের লোকজন ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ওই নারীর এমনিতেই গর্ভপাত হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় একটি হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে আরেকটি নবজাতক হত্যার নাটক সাজাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে জানতে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবিরকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান
বাবু বলেন, মাথায় আঘাতের কারণে নবজাতকটির মৃত্যু হয়েছে এই মর্মে ফরিদপুর মেডিকেল
থেকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘এমন একটা ঘটনার খবর শুনেছি, এছাড়া কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় একটা মার্ডার হয়েছে। বিষয়টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে এমনটা করা হচ্ছে বলে প্রতিপক্ষ দাবি করছেন। তাই সবকিছু মাথায় নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’