কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫২ পিএম
মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রামুর মহাবিহার শ্মশানে মৃত বিজিপি সদস্যের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রবা ফটো
কক্সবাজারে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ৩৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রামুর মহাবিহার শ্মশানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বিজিবির কক্সবাজার-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুবরণ করা ওই বিজিপি সদস্যের নাম ক্যাউ নন্দা (৩০)। তিনি বিজিপির ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এর জেরে বিভিন্ন সময় সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১২৪ জন বিজিপি সদস্য। এর মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্য ক্যাউ নন্দা গত ২৮ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিজিবির চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। গত ২ আগস্ট সেখানকার চিকিৎসক বিজিপির এ সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠায়।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ৩ আগস্ট রাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিজিপি সদস্য ক্যাউ নন্দার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর মৃতদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে সরকারের সংশ্লিষ্টরা মিয়ানমার দূতাবাস যোগযোগ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক গত ১৭ আগস্ট চমেক হাসপাতালের মর্গ থেকে বিজিপির সদস্যের মৃতদেহটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রামু উপজেলার মহাবিহার শ্মশানে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং বিজিবির সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে তার সৎকার সম্পন্ন করা হয়।’