কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৯ পিএম
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োগকৃত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএম খোরশেদুল আলম ও প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মৌলাকে দুর্নীতির দায় নিয়ে পদত্যাগের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি আদায় আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিউল ইসলাম অন্তর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহীদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেন তিনি। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১১ দফা দাবির সমর্থনে বক্তব্য দেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিক্ষার্থী শিমুল, ইমরান হোসেন, লিমন, পারভেজ প্রমুখ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএম খোরশেদুল আলম ও প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মৌলার বক্তব্য জানতে তাদের মোবাইলে ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে ১৩২০ মোগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। পরবর্তীতে একই ইউনিয়নে স্থাপন করা হয় আরএনপিএল নামে আরও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে নিশানবাড়িয়া, দাসের হাওলা, গরাৎখাঁ, মরিচবুনিয়া ও মধুপাড়া গ্রামের ঘরবাড়িসহ জমি অধিগ্রহণ করা হয় ১৩০ পরিবারের। জমি অধিগ্রহণের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ঘোষিত পদক্ষেপের মধ্যে ১৩০ পরিবারকে স্বপ্নের ঠিকানা প্রকল্পের আবাসন সুবিধা দেওয়া হয় মাত্র। বাকি পদক্ষেপ আর বাস্তবায়ন করা হয়নি।