বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:০৪ পিএম
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ‘ভুতুড়ে’ বিলে দিশাহারা গ্রাহকরা। জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশ গ্রাহকের। জুন মাসের তুলনায় তাদের দ্বিগুণ বিল আসছে বলে অভিযোগ। তারা এমন ভুতুড়ে বিলের প্রতিকার চেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় বাকেরগঞ্জে জোনাল অফিস রয়েছে। গত জুলাই মাসে উপজেলার অধিকাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গেই যোগ করা হয়েছে অতিরিক্ত টাকা। মিটার রিডার গ্রাহকের বাড়িতে না এসে অফিসে বসে বিল তৈরি করছেন বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের কুদ্দস হাওলাদার বলেন, জুন মাসে ৭০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি। জুলাই মাসে আমার বিল আসছে ১ হাজার ৯৯৫ টাকা। এমন ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে আমারা দিশাহারা হয়ে পড়েছি।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, জুন মাসে বিল দিয়েছি ১ হাজার ৭৮০ টাকা। আর জুলাই মাসে বিল এসেছে ২ হাজার ৫৮৯ টাকা। আমার মতো অধিকাংশ গ্রাহকেরই জুলাই মাসে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল এসেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের একজন মিটার রিডার বলেন, সারা বছরের পল্লী বিদ্যুতের বিলের মোটা অঙ্কের টাকা ঘাটতি দেখা যায়। জুন-জুলাই মাসে ক্লোজিং সময়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি বিল তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাড়তি বিল তুলতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, রিডিং কাজে কর্মরতরা মাঠপর্যায়ে না যাওয়ায় কিছু ত্রুটি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে গ্রাহকের অভিযোগ অনুযায়ী সমাধান করা হচ্ছে।