সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১০ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১৯ পিএম
গাজীখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সোমবার মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা-কলাবাগান এলাকায় । প্রবা ফটো
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে গাজীখালী নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীপাড়ের শত শত বিঘা তিনফসলি জমি ও বাড়িঘর হুমকিতে রয়েছে। উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা-কলাবাগান এলাকার গাজীখালী নদীতে গত এক সপ্তাহ এ কর্মযজ্ঞ চলেছে বলে জানান স্থানীয়রা। তারা অবৈধ ড্রেজার বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। ড্রেজার মালিকরা বলছেন, একটি সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য কিছু বালু তোলা হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর সংযোগ সড়ক ছাড়াও একাধিক স্থানে বালু বিক্রি করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইরতা-কলাবাগান এলাকার গাজীখালী নদীতে বসানো হয়েছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন। ড্রেজারের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে পাশের আটিমাইঠান গ্রামের মো. আক্কাসের পুকুর ভরাট করা হয়েছে। এ ছাড়া কলাবাগান গ্রামের বাদশার মাজারের পাশের কয়েকটি পুকুর ও নিচু জমি ভরাটের কাজ চলছে। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ড্রেজারের পাইপ পাশের নির্মাণাধীন সেতুর সংযোগ সড়ক ভরাট শুরু করে। নদীর যেখানে ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে তার ২০ ফুটের মধ্যেই রয়েছে তিনফসলি জমি। এ ছাড়া নদীর দুই পারে রয়েছে শত শত বিঘা কৃষিজমি ও ঘরবাড়ি। যেভাবে বালু তোলা হচ্ছে তাতে যেকোনো সময় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।
ইরতা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, নদীর পাশে আমার দুই বিঘা কৃষিজমি রয়েছে। যেভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে যেকোনো সময় জমি নদীতে ভেঙে যাবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আব্দুল আজিজ নামে আরেকজন বলেন, সেতুর সংযোগ সড়কের কথা বলে আশপাশের পুকুর ও নিচু জমি ভরাটের কাজ চলছে। এরই মধ্যে বালু বিক্রি করে কয়েকটি পুকুর ও নিচু জমি ভরাট করা হয়েছে। এটি বন্ধ না হলে নদীপাড়ের কৃষিজমি ও বাড়িঘর যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যাবে।
ড্রেজার মালিক আবুল হোসেন বলেন, গাজীখালী নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুটির দুইপাশের সংযোগ সড়কের জন্য কিছু মাটি দরকার। তাই ড্রেজার বসিয়ে কিছু বালু উত্তোলন করছি। রাতে যখন ছিলাম না, তখন কিছু বালু অন্যত্র ফেলা হয়েছে। তবে সেতুর সংযোগ সড়কের বাইরে আর বালু ফেলা হবে না। নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত কোনো অনুমতি পাইনি। তবে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।