রাজবাড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:০৮ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৬ পিএম
প্রবা ফটো
রাজবাড়ীর পাংশায় আশালতা দাস নামে এক বৃদ্ধাকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুটের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী সিনিয়র দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় দেন।
রাজবাড়ী জজ কোর্টের
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন।
নিহত আশালতা দাস পাংশা
উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের মৃত সন্তোষ কুমার দাসের স্ত্রী। বিশ্বজিৎ
কুমার বিশ্বাস একই গ্রামের সুজিৎ কুমার বিশ্বাসের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,
২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের
নিজ বাড়ীতে আশালতা দাসকে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়া
হয়। এ ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাসকে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার,
হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাতুরি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জামাতা স্বপন কুমার বিশ্বাস
বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
মামলার বাদী স্বপন কুমার
বিশ্বাস বলেন, পুলিশের ও বিচারকের আন্তরিকতায় ২৬ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর
আজ মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে আদালত। এ রায়ে আমি সন্তষ্ট। এত দ্রুত বিচার হলে সমাজে
অপরাধী কমে যাবে ও মামলার জট কমবে।
উজির আলী শেখ বলেন, আশালতা দাস বাড়িতে একাই থাকতেন। স্বর্ণালংকারের লোভে ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী ভোরে তাকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় বিশ্বজিৎ কুমার। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে। ২৬ জন স্বাক্ষী সবাই তাদের সামনে হত্যার কথা ও মালামাল উদ্ধারের সত্যতা প্রকাশ করায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।