সাভার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:২৮ পিএম
বিক্ষোভ করছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। প্রবা ফটো
সাভার আশুলিয়ায় চাকরি
প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আজও মহাসড়কে বিক্ষোভ করছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায়
দুইজনকে আটক করে শিল্প পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামেন। এসময় শ্রমিকদের ইটপাটকেলের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ
সুপার মো. সারোয়ার আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিল্প পুলিশ জানায়, শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে সকালে বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ছুটি ঘোষণা করা কারখানার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকার পিজিসিএল কারখানার সিনিয়র অপারেটর ইলিয়াস বলেন, আমাদের ১০টা দাবি ছিল। গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনসহ মালিকপক্ষ দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে গেছে। তারপর কারখানা এক সপ্তাহ বন্ধ রাখে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারা গতকাল বুধবার মেসেজ দিয়েছে পূর্বের নিয়মে কারখানা খোলা থাকবে। এতে বোঝা যায় আমাদের কোনো দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হয়নি। তখন গতকাল আমরা সড়ক অবরোধ করলে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেই।
তিনি আরও বলেন, আজ সকাল ১০টার মধ্যে আমাদের দাবির ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা। বিজিএমইএ ঘোষণা করেছে সকল কারখানা খোলা থাকবে। কিন্তু আমরা কারখানায়
এসে দেখি আমাদের কারখানা বন্ধ। আমরা আজ জানার জন্য এসেছি আজ কেন আমাদের কারখানা বন্ধ।
এখনও মালিকপক্ষ কারখানায় আসেনি। তারা কারখানা বন্ধ করে পালিয়েছেন। তাই সকল শ্রমিক
কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছে।
শিল্প পুলিশ আরও জানায়,
বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা দুইজনকে আটক করে শিল্প পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে তাৎক্ষণিক আটকদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার
আলম বলেন, গতকালের তুলনায় আজ পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। অধিকাংশ কারখানার
শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে হাতে গোনা কয়েকটা কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ
করায় সেসব কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, কারখানার
কার্যক্রম চালু রাখতে ও শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, বিজিবি
ও শিল্প পুলিশ যৌথভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।