সালথায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এক নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার ছেলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হামিদ মাতুব্বরের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক সহসভাপতি শাহিদুজ্জামান শাহিদের বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় গ্রুপের সমর্থকরা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

পরে শাহিদের গ্রুপের স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির মোল্যার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন সমর্থক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হামিদ ও তার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। 

ফারুক মাতুব্বর বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই শাহিদের গ্রুপের লোকজন আমাদের সমর্থক স্বপনকে মারধর করে। পরে আমাদের লোকজন ঠেকাতে গেলে তাদেরও মারধর করে। পরে কবির মোল্যার নেতৃত্বে এক থেকে দেড়শ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অন্তত ১০টি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।’ 

শাহিদুজ্জামান শাহিদ বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। সংঘর্ষ বা হামলার সঙ্গে আমি জড়িত না। পাট চুরি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে।’ 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’