সাভার (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪০ পিএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০৮ পিএম
সাভারের আমিন বাজার এলাকার একটি আবাসিক এলাকা থেকে দুই বছরের ছেলে ও তার বাবার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ধারণা, তাদের কুপিয়ে হত্যার পর গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর থেকে নিহত ফুয়াদুল ইসলামের খামারের শ্রমিক জয় পলাতক।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে সাভারের আমিনবাজারের বরদেশীর রুপালি সৈকত হাউজিং থেকে শিশুর খণ্ডিত মরদেহসহ বাবার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলো- কুষ্টিয়া জেলার ফুয়াদুল ইসলাম ও তার দুই বছরের ছেলে আশিক। তিনি আমিনবাজারের বরদেশী গ্রামের রুপালি সৈকত হাউজিং কোম্পানির ভেতরে একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে রাখালের মাধ্যমে ৪টি গরু ও তিনটি বাছুর পালন করতেন। সেই রাখালের নাম জয়। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ফুয়াদুল ইসলাম বেশ কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় ৪টি গাভি ও তিনটি বাছুর পালন করে আসছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী গ্রামে থাকেন। এখানে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তিনি। সেই স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তান হলে ৩-৪ মাসের মাথায় স্ত্রী চলে যায়। তখন থেকে দুই বছর ধরে সন্তান আশিককে দেখাশোনা করতেন বাবাই। পাশাপাশি গরুর খামার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল ওই রাখাল ফুয়াদুল ইসলামের খামারের গরু বিক্রি করতে আসে। কিন্তু এলাকাবাসী বাধায় মালিক না থাকায় গরুগুলো বিক্রি করতে পারেনি। স্থানীয়রা মালিকের উপস্থিতিতে গরু বিক্রি করতে বললে সে চলে যায়। সোমবার খামারের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ভেসে এলে স্থানীয়রা খামারের ভেতরে গিয়ে দুই জনের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ খামারের ভেতরে বালুচাপা দেওয়া ছিল। কিন্তু শেয়াল বালু খুঁড়ে মরদেহ বের করলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটির মরদেহ শেয়াল টেনেহিঁচড়ে খণ্ড খণ্ড করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৫-৬ দিন আগে তাদের হত্যা করে বালুচাপা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জয় নামের সেই রাখাল পলাতক। পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা করছে।