কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩০ পিএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০৩ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত আশিকুর রহমান আশিক নামের একজন মারা গেছেন। গত রবিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাতভিটা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয় আশিককে। এর আগে কুড়িগ্রাম শাপলা চত্বরে আশিকের আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মরদেহ দেখতে জানাজায় অংশ নিতে অসংখ্য মানুষের ঢল নামে।
নিহত আশিক সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের সময় মাথায় ঢিল লেগে আশিক আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৮ আগস্ট তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
আশিকের ছোট ভাই আতিকুর রহমান বলেন, আমরা দুই ভাই কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ৪ আগস্ট আমি ও বড় ভাই দুজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে কুড়িগ্রাম যাই। কুড়িগ্রাম শাপলা চত্বর এলাকায় হামলার শিকার হই। বড় ভাইয়ের মাথায় ইটের আঘাত লাগে। প্রথম দিন তেমন গুরুত্ব দিইনি। পরে বমি শুরু হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। গতকাল ভাই মারা যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এর আগে কুড়িগ্রামের চারজন নিহত হন। তারা সবাই ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তাদের লাশ কুড়িগ্রামে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।