খুলনা অফিস
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২৩ পিএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪০ পিএম
শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকায় শ্রমিক বিদায় না দিয়ে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করে মিলসমূহ আধুনিকায়নের মাধ্যমে খুলনার ৯টিসহ বন্ধ ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টার আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়নে এসব দাবি জানান নাগরিক পরিষদের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা। তিনি বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে নাগরিক পরিষদ মনে করছে পাটকল চালুর দাবিতে এখন আরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে বর্তমান বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নাগরিক পরিষদের সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নাগরিক পরিষদের প্রতিনিধিরা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গত ২৭ আগস্ট উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে তথ্য-উপাত্তসহ শ্রমিক-নাগরিকদের ৯ দফা দাবি পেশ করেন।
৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, উল্লিখিত পাঁচটি মিলের শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাসহ ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী ৯টি উৎসব বোনাসের ডিফারেন্স বা বর্ধিত অংশ ২০২০ সালের ঈদুল আজহার বোনাস, ৩টি বকেয়া বৈশাখী ভাতা, সাপ্তাহিক ৪৮ ঘণ্টার অধিক হাজিরার এরিয়ার বিল দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতিযুক্ত বিজেএমসির সংস্কার করাসহ তৎকালীন মন্ত্রী, সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার করা, ইতোমধ্যে যেসব রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল লিজ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা, ২০১০ সালের ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট কার্যকর করা, কাঁচাপাট সরাসরি রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা, ব্যক্তিমালিকানাধীন পাটকলে শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ, আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিল কর্তৃক যেসব ফৌজদারি মামলা রয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার ইত্যাদি। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টার আশ্বাস অনুযায়ী অবিলম্বে ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসএ রশিদ, মুনির চৌধুরী সোহেল, জনার্ধন দত্ত নান্টুসহ পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।