মধ্যাঞ্চলীয় ব্যুরো
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৩৫ পিএম
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০০ পিএম
আনোয়ার হোসাইন।
চাকরির সন্ধানে সৌদি আরব গিয়ে সাত মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় সাহায্যের জন্য সরকারি দপ্তরে গিয়ে কোনো সমাধা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। তাছাড়া থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ মানব পাচার দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আনোয়ার হোসাইন নামে এই ব্যক্তির স্ত্রী দিপা আক্তার।
আনোয়ার জেলার কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া কোদালাটিয়ার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে।
মামলায় কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া কোদালটিয়ার মোছলেহ উদ্দিনের ছেলে দুলাল নামে এক ব্যক্তি, ঢাকার বনানীতে অবস্থিত ‘সেভেন সিস কর্পোরেশন’ রিক্রুটিং এজেন্সির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও পাকুন্দিয়া উপজেলার পাঁচলগোটা মাইজহাটির সাহাবউদ্দিনের ছেলে আসাদকে আসামি করা হয়েছে।
এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোলাইমান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জের পিবিআই পুলিশ সুপার মো. শাহাদাৎ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মামলা হয়েছে শুনেছি। এখনও আদালতের নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পাওয়া মাত্র পিবিআই তদন্ত শুরু করবে। তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বনানীতে ‘সেভেন সিস কর্পোরেশন’ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে যান আনোয়ার হোসাইন। ওই এজেন্সির সঙ্গে মধ্যস্থতা করেন স্থানীয় দুলাল নামে এক ব্যক্তি। সৌদিতে ‘শারীকা মানসিমুল ইয়াসমিন আল মুকাওয়ালাত’ কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার পর আনোয়ারকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে ওই এজেন্সির লোকজন।
আনোয়ারের পরিবার জানায়, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব যান আনোয়ার। তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে অর্থ দাবি করে ওই এজেন্সির লোকজন। পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা দিতে অসম্মতি জানানো হয়। এর পর ১৭ মে থেকে আনোয়ার নিখোঁজ রয়েছেন। গত সাত মাস ধরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আনোয়ারের স্ত্রী দিপা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীর সন্ধান চেয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদন করেন আমার শাশুড়ি বানেছা খাতুন। কিন্তু আবেদন কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে ১৫ নভেম্বর কটিয়াদী থানায় আমি একটি মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। থানা থেকে মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।’