কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ২২:৩২ পিএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ২২:৩৮ পিএম
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকালে বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান। এ সময় রানওয়ে, লাইটিং সিস্টেম, রক্ষা বাঁধ, টার্মিনালসহ জমি জটিলতার বিষয়গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি।
এয়ার ভাইস মার্শাল মনজুরুল কবির ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যে রানওয়ে সম্প্রসারণের ৮৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৯ হাজার ফিট রানওয়ের প্রস্তুত আছে। নতুন করে ১ হাজার ৭০০ ফিট রানওয়ে করা হয়েছে। সর্বমোট ১০ হাজার ৭০০ ফিট রানওয়ে হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ রানওয়ে। এ ছাড়া সাগরের মধ্যে যে রানওয়ে নিমার্ণ হয়েছে, সেখানকার লাইটিং সিস্টেম ও রক্ষা বাঁধ জাপানের একটি কোম্পানি কাজ করেছে। কাজের মান অত্যন্ত ভালো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন যে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে সেটি ভবিষ্যতে ডমেস্টিক টার্মিনাল হয়ে যাবে। এটির কাজও ৯৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। ওপরে ঝিনুকের আদলে অবকাঠামো ও ভেতরে আর কিছু কাজ বাকি আছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রূপায়নে আরও একটি আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া বর্তমান টাওয়ার ভবনটিও ভেঙে ফেলা হবে। এখানে এয়ার ক্রাফট দাঁড়াবে। ডলারের পরিস্থিতির কারণে পেমেন্ট আটকে ছিল। এ জন্য কাজও কিছুটা পিছিয়ে গেছে। আমরা বিদেশি কোম্পানিগুলোকে কথা দিয়েছি, টাকার জন্য চিন্তা না করতে। সময়মতো সব পরিশোধ করা হবে।
মনজুরুল কবির ভূঁইয়া বলেন, রানওয়েকে আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষণা দিতে কিছু জমি সংক্রান্ত জটিলতা আছে। তারমধ্যে একটি পুরাতন ঝিনুক মার্কেট। এখানকার ব্যবসায়ীদের ইতোমধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হেয়ছে। কিন্তু তারা সরছে না। এ ছাড়া যেখানে মূল টার্মিনাল হবে, সেখানে অনেক মানুষ বসবাস করছে। তাদেরও খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তাদের জন্য বাঁকখালী নদীতে নতুন করে সেতুও নিমার্ণ করা হয়েছে। কিন্তু তবুও কিছু মানুষ সরছে না। পিডাব্লিউডিকেও চিঠি দিয়েছি। এ জন্য আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চূড়ান্তভাবে অপারেশনে যেতে না পারলে এতো টাকা খরচের অনুভব করতে পারবো না। এতে প্রকৃত অর্থে দেশেরই ক্ষতি হবে।
বেবিচকের অপরাশেন এন্ড প্লানিং মেম্বার এয়ার কমোডর এএফএম আতিকুজ্জামান, এডমিন মেম্বার আবু সালেহ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খান, এটিএম মেম্বার এয়ার কমোডর একেএম জিয়াউল হক, ফিন্যান্স মেম্বার এসএম লাভলুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আফরোজ ও কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইউনুছ ভূঁইয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।