ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৩৭ পিএম
পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রদলের একপক্ষের আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতির সময় হামলা, মারধর ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের অপরপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক খালেদ বিন পার্থিব আহত হয় ও সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়নের বাসভবন লক্ষ্য করে ৫/৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক ঈশ্বরদী পৌরসভার বিগত নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়নের শহরের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন ও পৌর শহরের পূর্বটেংরী জিগাতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কলেজের পাঠদান কার্যক্রম চলা অবস্থায় এমন হামলায় মুহূর্তের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভেতর আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কলেজের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ইতোমধ্যে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাবেক এক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মেহেদী হাসানের কর্মীসমর্থকদের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বেশ কিছু বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম নয়ন অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনার ট্রেন বহরের হামলার মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর সম্প্রতি জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এ উপলক্ষে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদল আনন্দ মিছিলের উদ্যোগ নিয়ে তারা কলেজ চত্বরে একত্রিত হতে থাকে। এসময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব মেহেদি হাসানের নিদের্শে একদল যুবক আনন্দ মিছিলের জন্য জড়ো হওয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় কলেজ ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির আহবায়ক খালেদ বিন পার্থিব আহত হয়। পরে যুবকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে করে আমার বাসভবনের সামনে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব মেহেদি হাসানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে তার মুঠোফোনে বারবার যেগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, গুলিবর্ষণ ও মারামারির ঘটনা শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।