মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৫৪ পিএম
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত এবি পার্টির নেতা সোহেল বান্না। প্রবা ফটো
রংপুরের মিঠাপুকুরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) নেতা সোহেল বান্না এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত সোহেল বান্না মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার ওপর হামলায় নেতৃত্বের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার শঠিবাড়ী এলাকার দুই আওয়ামী লীগের নেতা ওয়াদুদ আলী এবং সাবু মিয়া ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন। সস্প্রতি সাবু মিয়া ওয়াদুদ আলীর কাছে ব্যবসায়ীক অংশ হিসেবে ১৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান ওয়াদুদ আলী। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওয়াদুদের কাছ থেকে টাকা তুলতে সাবু মিয়া বিএনপি নেতা সাদেকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। তিনি ওয়াদুদ আলীকে টাকার জন্য চাপ দেন। এ ঘটনায় ওয়াদুদ আলী উপজেলা এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল বান্নার সহায়তা চান। এর জের ধরে শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে সাদেকুল গ্রুপ এবং সোহেল গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাদেকুল রামদা দিয়ে সোহেলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবণতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
দুই ব্যবসায়ীক পার্টনার ওয়াদুদ আলী ও সাবু মিয়া এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে রংপুর জেলা বিএনপি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সাদেকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। জেলা বিএনপির চলতি দাপ্তরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য মো. হারুন অর রশীদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়।
হামলার শিকার সোহেল বান্নার পরিবার সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ দিতে পারছেন না। খুব দ্রুত অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানায় তারা।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।