রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৪ ১৫:২০ পিএম
ফারাক্কা বাঁধ। ছবি : সংগৃহীত
ফারাক্কা বাঁধের
১০৯টি গেট খুলে দেওয়ার খবরটি গত সোমবার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। গেট খোলার পর যতটা
না নদীর পানি বেড়েছে তার চাইতে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে পদ্মার তীরবর্তী জেলা শহরগুলোতে।
বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বন্যার প্রাদুর্ভাব রোধে বাঁধের গেটগুলো খুলে দেয় ভারত।
পানি উন্নয়ন
বোর্ডের হিসেবে, ভারতের ফারাক্কা অংশে পানি ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার কিউসেক। বন্যা পরিস্থিতির
কারণে ফারাক্কা অংশ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে সাড়ে ১৩ লাখ থেকে ১৪ লাখ কিউসেক পানি। গত
শনিবার ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়ার পর তিন দিনে বাংলাদেশ অংশের পদ্মা নদীতে
পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ সেন্টিমিটার।
রাজশাহী জেলার
গোদাগাড়ী, পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীতে অন্তত দশটি
চর রয়েছে। সেখানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করে। এই চরবাসীর পাশাপাশি পদ্মা নদীর
তীরবর্তী এলাকার মানুষ বেশি উৎকণ্ঠায় রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাদের মাঝে বন্যা
পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুজবও রটেছে।
ভারত কেন্দ্রীয়
পানি কমিশনের গণমাধ্যমে দেওয়া তথ্যমতে, ফারাক্কার বিপদসীমা ২২.২৫ মিটার। গত রবিবার
দুপুরে যা ২২.৭ মিটার ছুঁয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টাতেও একই ছিল। গত রবিবারের হিসাবে
ফারাক্কা দিয়ে পানি নামছে ১১ লাখ ৩০ হাজার কিউসেক। ওপর দিক থেকে যে পানি আসে এর মাঝে
৪০ হাজার কিউসেক বাদ দিয়ে বাকিটা ছেড়ে দিতেই হয়। ভারতের প্রান্তে সর্বোচ্চ ২৭ লাখ কিউসেক
পানি হয়।
ফারাক্কার পানিতে
বন্যা হবে কি না তা নির্ভর করে হরিদারের গঙ্গার পানির পরিমাণের ওপর। ওই পানি পদ্মায়
আসতে সময় লাগে তিন থেকে চার দিন। এ ছাড়া গঙ্গা অববাহিকা অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের ওপরেও নির্ভর
করে পদ্মার পানি বৃদ্ধি। একটি বাঁধের অংশ খুলে দেওয়ার পর সাধারণত দুই থেকে তিন দিন
সময় লাগে বন্যার পরিস্থিতি বুঝতে।