কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১৮ পিএম
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৩৮ পিএম
বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে কুমিল্লায় তিন দিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবা ফটো
কুমিল্লায় বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে তিন দিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার দুজন, আগের দিন তিনজন ও সোমবার একজন মারা যান। এর মধ্যে তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে, একজনের মাথায় গাছ পড়ে এবং দুজন পানিতে তলিয়ে মারা যান।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন হোসেন জানান, লাকসামে খালিদ মাহমুদ নামে এক আলিম পরীক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। তিনি বন্যার্তদের জন্য পানি পৌঁছে দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন বিকালে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে ওই উপজেলার আরেক শিশুর মৃত্যু হয়।
বুধবার রাতে জেলার নাঙ্গলকোটে বন্যার পানিতে তলিয়ে মারা যান পৌরসভার দাউদপুর এলাকার কেরামত আলী। রাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় একটি ব্রিজের নিচে প্রবল স্রোতে তলিয়ে যান তিনি। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলের অদূরে তার লাশ ভেসে ওঠে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেবদাস দেব বলেন, কেরামত আলীকে রাত ১২টার দিকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে পরিবার লাশ নিয়ে যায়।
একই দিন বিকালে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। সে নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে এদিন সকালে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন নামে এক প্রবাসী মারা যান। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া (আদর্শগ্রাম) পূর্বপাড়া এলাকার কানু মিয়ার ছেলে তিনি।
এর আগে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে কুমিল্লা নগরীর সালাউদ্দিন মোড়ে ওই আইনজীবী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যান তিনি।